পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে?

  • প্রকাশিতঃ
  • ২০ মার্চ, ২০২৩ ১২:৩৬ অপরাহ্ণ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমাদের চাপে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রাশিয়ান রাষ্ট্রনায়ক ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানী জারি করেছে। পুতিনের বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারী পরোয়ানাকে ঘিরেই এখন বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো ব্যস্ত। ঝড় উঠেছে পুরো পৃথিবীর টিস্টল বুদ্ধিজীবীদের মাঝেও। সবার মনেই প্রশ্ন এটা আবার কি করে সম্ভব?

গেল নভেম্বরেই ৮০ বছর পূর্ণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জো বাইডেন বুড়ো বয়সে এসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধালেন- ইন্ধন দিলেন , অস্ত্র দিলেন, পরোক্ষভাবে অংশও নিলেন সবই ঠিক ছিলো। শক্তি থাকলে যে কেউ যুদ্ধ করতে পারে। তাছাড়া নীতিগতভাবে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে যুদ্ধ বাধানো ও ফায়দা লুটা। সবই ঠিক ছিলো কিন্তু জো বাইডেন কেন ভুলে গেলেন তিল আর তাল এক জিনিস নয়। কি মনে করে তিনি পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানার বুদ্ধি দিলেন? আইসিসির কথা বলবেন? তাহলে আপনি বেকুবই রয়ে গেছেন। এটা আইসিসির কোন সিদ্ধান্ত ছিলো না। মার্কিনীদের নির্দেশনা মত পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি।

ব্যাপারটা শুধু যে প্রহসনমূলক তা কিন্তু নয় হাস্যকরও। কারণ পশ্চিমারা ভুলে গেলো পুতিন কিন্তু সাদ্দাম নন। রাশিয়া কিন্তু ইরাক কিংবা আফগানিস্তান নয়। বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী দেশের নাম রাশিয়া। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারমানবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ দেশের নাম রাশিয়া। সেই দেশের রাষ্ট্রনায়কের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করলেন- মামা বাড়ীর আবদার হয়ে গেলো না? ভুলে যাবেন না বিশ্বে যুগে যুগে যত একনায়ক এসেছেন তাদের সবার মূলমন্ত্র ছিলো- যে পৃথিবী আমার না সে পৃথিবী আর কারও হবে না। পশ্চিমারা কেন ভুলে গেলো পুতিনকে গ্রেফতার করতে চাওয়া মানে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া। আপনারা পুতিনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাবেন আর তার এত বৃহৎ শক্তি তা চেয়ে চেয়ে দেখবেন? তাই কি হয়? হয় না। এরকম কিছু করা কখনই সম্ভব হবে না। কারণ ওরকম কোন কিছু হবার আগেই পুতিন তার সেনাপতিদেরকে চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়ে দেবেন। যার ফলাফল সবারই জানা। তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়া এবং কার্যত পৃথিবীর ৯০ ভাগই ধ্বংস হয়ে যাওয়া। কারণ বিজ্ঞানীরা আশংকা করছেন যদি কোন কারণে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেধে যায় তাহলে পৃথিবীর ৯০ ভাগ মানুষই জীবিত থাকবেন না। কারণ দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর প্রযুক্তিগতভাবে বিশ্বের সুপারপাওয়ার স্টেগুলো এতটাই সমৃদ্ধ যে তাদের কাছে মজুদকৃত একেকটা পারমানবিক অস্ত্র একেকটা দেশ ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। তারপরও পশ্চিমাদের চাপেই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদলাত এমন একটা প্রসহনমূলক গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে। তারা হয়তো ভুলে গেছেন জন লিলির সেই বিখ্যাত উক্তিটির কথা। যেখানে জন লিলি বলেছেন- Everything is fair in love and war. যুদ্ধ বাধাবেন আবার জিততেও চাইবেন প্রতিপক্ষ দাঁতাভাঙা জবাব দিলেই নো বল কল করে ফ্রি হিটের সুযোগ নেবেন- তাই কি হয়? হয় না।

  • জাহিদুল ইসলাম

    জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

    Related Posts

    • জুলাই ১৩, ২০২৩
    • 132 views
    অমরত্বের পথে সাকিব আল হাসান

    অমরত্বের পথে সাকিব আল হাসান। শিরোনাম দেখে অনেকেই অবাক হতে পারেন না হওয়ারও কোন কারণে নেই। বাংলাদেশি কোন ক্রিকেটার অমরত্ব লাভ করার মত…

    Read more

    • জুলাই ৯, ২০২৩
    • 63 views
    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেট ও ফুটবলের কল্যাণে আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি

    দিন রাত যিনি দেশের মানুষের কথা ভাবেন তিনি ক্রিকেটারদের মনের ব্যাথা বুঝবেন না তাই কি হয়? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বুঝেছেন এবং দেশের মানুষের…

    Read more

    You Missed

    দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে ড. ইউনূস সরকার

    দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে ড. ইউনূস সরকার

    সংবাদ সম্মেলন করে ১০ দফা দাবি সাদপন্থিদের

    সংবাদ সম্মেলন করে ১০ দফা দাবি সাদপন্থিদের

    এক্সপ্রেসওয়েতে দুই গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১

    এক্সপ্রেসওয়েতে দুই গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১

    দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ফেলে পাকিস্তানের ইতিহাস

    দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ফেলে পাকিস্তানের ইতিহাস

    বিসিএস তথ্য ক্যাডারের বঞ্চিতদের মানববন্ধন আজ

    বিসিএস তথ্য ক্যাডারের বঞ্চিতদের মানববন্ধন আজ

    বিকেলে চালু হচ্ছে মোবাইল ইন্টারনেট

    বিকেলে চালু হচ্ছে মোবাইল ইন্টারনেট