ততটুকুই যাকাত দিন যতটুকু আপনার উপর ফরজ হয়েছে। ইসলামে যাকাতের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ অন্য সব ইবাদত আল্লাহর জন্য হলেও এই যাকাত এমন একটা ইবাদত যেটা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বিধান করেছেন মূলত বান্দার কল্যাণের জন্যেই । কারণ যাকাত এর মাধ্যমে ধনী গরিবের দূরত্ব কমে। কাজেই যাকাত নিয়ে কোন অবহেলার সুযোগ নেই। পবিত্র কোরআনে নামাজের পাশাপাশি অসংখ্যবার যাকাতের কথা বলা হয়েছে।
আল্লাহর ইবাদত কে কম বেশি করল না করল তা নিয়ে আল্লাহর অতটা কড়াকড়ি নেই। কিন্তু যে সকল বান্দা আল্লাহর বান্দাদের হক মেরে খেয়েছে কিংবা হক বুঝিয়ে দেয় নি তারা কখনই মাফ পাবেন না। কারণ যার হক মারা হবে তিনি ছাড়া আর কেউ তাকে ক্ষমা করতে পারবে না। স্বয়ং আল্লাহ নিজেই বলেছেন বান্দার হক মারা ব্যাক্তিদের আল্লাহ নিজেও ক্ষমা করবেন না।
যাকাত কোন দয়া কিংবা অনুগ্রহ নয়। এটা আল্লাহর বিধান। ধনীদের সম্পদের উপর গরীবদের হক। সেই হক যারা ঠিকমত আদায় না করবেন যতই নামাজ পড়েন, যতই রোযা রাখেন আর যতই হজ্জ করেন জান্নাতের দড়জা আপনার জন্য নহে।
আর এটাও সত্য মুসলমানরা যদি সবাই ঠিক মত যাকাত দিতো তাদের সমাজে কোন গরীব মানুষ থাকত না। ধরুন একজনের ইসলামিক বিধান অনুসারে ১ কোটি টাকার যাকাতযোগ্য সম্পদ আছে। এখন তারঁ ২.৫ লাখ টাকা যাকাত দিতে হবে। বেশির ভাগ মানুষ কি করে ২০-২৫ হাজার টাকার কাপড় কিনে দিয়ে দেয়। জব ডান! আরে ভাই আল্লাহকে ফাঁকি দেয়া এতই সহজ? ঐ যাকাতযোগ্য ১ কোটি টাকা পরিমান সম্পদের জন্য ২৪৯৯৯৯ টাকা যাকাত দিলেও ১ টাকার জন্যই আপনাকে আল্লাহ ছাড় দিবেন না।
সতর্ক হন, যাকাত দিন। যতটুকু ফরজ হয়েছে ঠিক ততটুকুই। এক চুল পরিমানও কম না। তাহলে জিন্দেগানীর ইবাদত, আমল দিয়েও জান্নাতের দড়জা খুলতে পারবেন না।