সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর দোয়ারাবাজার সংলগ্ন চরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে সুরমা নদীর মাঝে আটকে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
জানা যায়, গত ১৪ জুন রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল শিক্ষার্থী সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়াতে যান। হঠাৎ বন্যা দেখা দেওয়ায় সেখানে তারা আটকা পড়েন। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার দুপুরে ‘কপোতাক্ষ-অনির্বাণ’ নৌযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করে সিলেটের উদ্দেশে পাঠানো হয়। এ সময় আরও বেশ কয়েকজন যাত্রীকে নৌযানটিতে তোলা হয়। তবে রাত সাড়ে ৮টার দিকে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় নৌযানটি অচল হয়ে পড়ে।
শিক্ষার্থীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্ধারের আর্জি জানালেও তাদের রাতের মধ্যে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধে রোববার সকাল ৮টায় দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা পর সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর একটি দল। এরপর ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ জনসহ সর্বমোট ৩১ জন শিক্ষার্থীকে স্পিডবোটে করে সুনামগঞ্জের ছাতকে নেওয়া হয়। বর্তমানে তাদেরকে সিলেট ক্যান্টনমেন্ট নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আটকে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শোয়াইব আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল ৮টার দিকে আমাদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী আসে। এরপর আমাদের স্পিডবোটে করে ছাতকে নিয়ে আসা হয়। এখন আমরা গোবিন্দগঞ্জ হয়ে সিলেটে যাব। বিকল হওয়া লঞ্চটিও ঠিক হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ১৭ জন শিক্ষার্থীসহ আরও কিছু শিক্ষার্থী লঞ্চে করে সিলেট যাচ্ছেন।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, গতকাল রাতে শিক্ষার্থীরা আটকে পড়ার খবর জানতে পারি। সঙ্গে সঙ্গে সুনামগঞ্জ ক্যান্টনমেন্টের রেসকিউ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শওকত এবং ওই জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে তাদের উদ্ধারে অনুরোধ জানাই। আজ সকালে সেনাবাহিনীর একটি টিম গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের সিলেট ক্যান্টনমেন্ট নিয়ে আসা হচ্ছে।