ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের পুকুরে ডুবে হলেরই আবাসিক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। রোববার বেলা ১২টার দিকে হলের পুকুরে সাঁতার কাটতে নেমে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলেরই আবাসিক ছাত্র নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পলাশ মারা যান। ডুবে যাবার পর তাকে উঠিয়ে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে ১ ঘন্টার মত জীবিত থাকলেও শেষরক্ষা হয়নি। হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আল আমিন সিদ্দিক সুজন জানান, ‘এমন আকষ্মাত মৃত্যু কাম্য নয়। এর আগে ২০১৬ সালে শেষবারের মত একই পুকুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও একজন শিক্ষার্থী সাতার কাটতে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় পুরো হলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
পলাশ নামের ওই শিক্ষার্থীকে রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান সহপাঠীরা। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখে বেলা ১ টা ৫৮ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে মেডিকেল পুলিশ ফাড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান।
সঙ্গে আসা সিয়াম নামের একজন শিক্ষার্থী জানান, দুপুরে পুকুরে গোসল করতে নেমে পালাশ নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে পুকুরপাড়ে ভিড় জমায় হলের শিক্ষার্থীরা। ১৫ মিনিটের মত খোঁজাখুঁজির পর সহপাঠীরা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন, কিন্তু তার আগেই তার মৃত্যু হয়।
পলাশ নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি জহুরুল হক হলের (বর্ধিত) ৩০১৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জ।