চুয়াডাঙ্গায় ভোজ্য তেলের বাজার তদারকিতে অভিযান চালিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের ফেরিঘাট রোড, সাত ভাই পুকুর রোড, বড় বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাদাত হোসেন।
জানা গেছে, ভোজ্য তেলের বাজার পরিস্থিতি মনিটরিংএ জেলা প্রশাসন বেশ তৎপর। এরই ধারাবাহিকতায় কেউ অবৈধভাবে ভোজ্য তেলের মজুদ করে কৃত্রিম বাজার সংকট তৈরি করছেন কিনা, যাচাইয়ের জন্য মাঠে নামে প্রশাসন। শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে শহরের ভোজ্য তেলের পাইকারী ব্যবসায়ীদের গোডাউনে এ অভিযান করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাদাত হোসেন কথা বলেন বিডিনিউজ ট্র্যাকারের সাথে। এক বিবৃতিতে সাদাত হোসেন বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বাজারের কৃত্তিম সংকট রোধ করতে আমরা এ অভিযান পরিচালনা করি। আইন মোতাবেক জরিমানাও করা হয়েছে। আশা করি সামনের দিনগুলোতে অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার আশায় এধরনের হীন কর্মকান্ডে জড়াবে না।’ আমরা দুটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ৬২+১০০ মোট ১৬২ লিটার তেল উদ্ধার করা হয়। যারই শাস্তি হিসেবে ৫০০০+ ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানসূত্রে জানা গেছে, শহরের ফেরিঘাট রোড, বড় গলি, সাত ভাই পুকুর এলাকার কয়েকটি বড় গোডাউন তদারকি করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাদাত হোসেন। এ সময় তিনি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে তেলের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করেন। অভিযানে অবৈধভাবে তেলের মজুদ কোথাও না থাকলেও, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাবসায়ীদের সতর্ক করা হয়। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলায় তেলের চাহিদা অনুযায়ী তেল পাওয়ার ব্যাপারেও কোম্পানীগুলোর সাথে আলোচার আশ্বাস দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাদাত হোসেন।
পরে, ঈদকে সামনে রেখে শহরে দুর্ঘটনা রোধে এবং যানবহন ব্যবহারে সকর্ত করতে দৌলতদিয়ার বাস স্ট্যান্ডের সামনে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৯২/১ ধারায় চারটি মামলায় ৪জনকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ অভিযানে সহযোগীতায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসনের পেশকার জাহিদুল ইসলাম। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি টিম।