জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এমপি বলেছেন, দেশে এখন আর এক দিনের গণতন্ত্রও নেই।
তিনি বলেন, আগে দেশের মানুষ এক দিন ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে গণতন্ত্রের স্বাদ উপভোগ করতো। ১৯৯১ সালের পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি টাকা এবং পেশিশক্তি ব্যবহার করে গণতন্ত্র পুরোপুরি ধংস করে দিয়েছে। দল দুটি ইচ্ছেমত সংবিধান কাটাকাটি করে গণতন্ত্র শেষ করে দিয়েছে। তারা সংবিধানিকভাবেই সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি আরও বলেন, সাংবিধানিকভাবেই এখন সকল ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে। তিনি যা বলবেন তাই হবে, তার কথার বাইরে কিছুই সম্ভব নয়। তিনি সকল আইন ও জবাবদিহিতার উর্ধে। ১৯৯১ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনা করেছে। তারা দেশকে জবাবদিহিতাহীন দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়। বিচারকদের এখন আর আঙ্গুলের নির্দেশ দরকার হয় না। ডিজিটাল সিস্টেমে সব হয়ে যায়। তাই মানুষ আইনের শাসন পুরোপুরি ভোগ করতে পারছে না।
শুক্রবার বিকেলে মিরপুরের গোলাপটেক মাঠে দারুসসালাম থানা জাতীয় পার্টির দ্বি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশের মানুষ স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকে মুক্তি পেতে জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। দেশের মানুষ আবারো জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে দুটি জোট হবে। একটি সরকারি দল ও তাদের সমর্থকরা থাকবে। বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দেবে জাতীয় পার্টি। আমাদের জোটে সমর্থন থাকবে দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের।
সম্মেলনের শেষাংশে মো.আলমাস উদ্দিনকে সভাপতি ও আলহাজ্ব মাসুম পারভেজকে দারুসসালাম থানা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি।
দারুসসালাম থানা জাতীয় পার্টির আহবায়ক মো.আলমাস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আলহাজ্জ মাসুম পারভেজের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরো বক্তৃতা করেন-জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদ এর বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মো.মসিউর রহমান রাঙা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারী মীর আব্দুস সবুর আসুদ।
বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম সেন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আমানত হোসেন আমানত, মো.মাহবুবুর রহমান লিপটন, ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মো.জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব মো. শামসুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী নাসির উদ্দিন সরকার, মো.হেলাল উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো.জহিরুল ইসলাম মিন্টু, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ এডভোকেট আবু তৈয়ব যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, যুগ্ম কৃষি সম্পাদক মোঃ গোলাম মোস্তফা কামাল, যুগ্ম সমাজকল্যান সম্পাদক ডাঃ সেলিনা হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মামুন হাসান মনির, এস মহিবুর রহমান মেহেদী হাসান শিপন, সৈয়দা জাকিয়া আফরুজ হিয়াসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তরের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।