আজ ঐতিহাসিক ৩রা মার্চ, মহান স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের সুবর্ণজয়ন্তী। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের অগ্নিঝরা মার্চের আজকের দিনটিতে স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ এর রূপরেখা সম্বলিত স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন বঙ্গবন্ধুর চার খলিফার অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব,বঙ্গের আলীগড় খ্যাত সাদত কলেজের সাবেক ভিপি, অবিভক্ত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সংগঠক, টাঙ্গাইল তথা বাংলাদেশের জননন্দিত নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, জননেতা শাজাহান সিরাজ। স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের রাজনৈতিক গুরু, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান, একুশে পদক প্রাপ্ত পুরোধা ব্যক্তিত্ব, টাঙ্গাইল এর জীবন্ত কিংবদন্তী, জননেতা জনাব ফজলুর রহমান খান ফারুক। বিশিষ্ট আলোচক হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর চার খলিফার অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব, অবিভক্ত ছাত্রলীগের সভাপতি, স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সংগঠক, স্বাধীনতা সংগ্রামের জীবন্ত কিংবদন্তী, স্বাধীনতার ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির অন্যতম ব্যক্তিত্ব জননেতা নূর-ই- আলম সিদ্দিকী; বঙ্গবন্ধু উপাধির প্রবক্তা, জননেতা রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক; মহান মুক্তিযুদ্ধের বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের মুজিব বাহিনীর প্রধান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক, জাতীয় পার্টি (জেপি) এর মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম;
টাঙ্গাইল এর গর্ব, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক জনাব কবি আল মুজাহিদী ভাসানী ফাউন্ডেশন এর সম্মানিত সভাপতি, ভাসানী ফাউন্ডেশন টাঙ্গাইল এর সভাপতি ও টাঙ্গাইল সাহিত্য সংসদের উপদেষ্টা খন্দকার নাজিমুদ্দিন প্রমূখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বৃহত্তর ময়মনসিংহের প্রথম নারী ব্যারিস্টার, গুলশান সোসাইটির সফল সাধারণ সম্পাদক, কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজ পরিচালন পরিষদের সুযোগ্য সভাপতি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব শাজাহান সিরাজ তনয়া ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ এবং অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন ষাটের দশকের তুখোর ছাত্রনেত্রী, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের সাবেক ভিপি, কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজ পরিচালন পরিষদের দাতা সদস্য, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব শাজাহান সিরাজ এর সুযোগ্য সহধর্মিণী, বেগম রাবেয়া সিরাজ। অালোচনার শুরুতেই আলোচকবৃন্দ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, মহান স্বাধীনতার কিংবদন্তী নায়ক, জাতির জনক,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, পনের আগস্টের কালো রাতে তার সাথে নিহত পরিবারের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী; প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক শামছুল হক এবং বাহান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের এবং শাজাহান সিরাজ ও আবদুল কুদ্দুস মাখনকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করেন। বক্তাগণ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ দিবস সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন। ইশতেহার প্রণয়ন ও পাঠের প্রেক্ষাপট, ইশতেহার এর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিশ্লেষণের পাশাপাশি ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দের নামকরণের প্রেক্ষাপট, মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ভূমিকা এবং পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আলোচকবৃন্দের অনেক তাৎপর্যপূর্ণ, বিদগ্ধ ও জ্ঞান গর্ভ আলোচনা শ্রোতামন্ডলীকে মোহাবিষ্ট করে রাখে। মহান মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা বিভিন্নভাবে অবদান রেখে গিয়েছেন তাদের ইতিহাস কে জাতীর সামনে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ দিবসকে জাতীয়ভাবে উদযাপন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ভূমিকাকে জাতীর সামনে উপস্থাপনের জন্য ইতিহাসবেত্তা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষকদের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়। সবশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি অনুষ্ঠানটিকে সাফল্যমণ্ডিত করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং সবার সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।