ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার ভোরে এই হামলা শুরু হয়। আজ মঙ্গলবার হামলার ষষ্ঠ দিন। রাশিয়া-ইউক্রেনের এই যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর আগে পশ্চিমাবিশ্বকে হুমকি দিয়ে রেখেছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি বলেছেন, “ইউক্রেনকে ন্যাটো রুশ বাহিনীর বিপক্ষে সৈন্য দিয়ে সহায়তা করলে প্রতিঘাতের পরিণতি এতটাই ভয়াবহ হবে, যা ইতিহাসে আগে দেখা যায়নি।” এছাড়াও ইউক্রেন অভিযানের মাঝেও তিনি পরমাণু ইউনিটকে ‘সর্বোচ্চ সতর্কতায়’ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুতিনের এই হুমকি নিঃসন্দেহে বিশ্বের জন্য আতঙ্কের। সত্যিই কি এমন আতঙ্ক সৃষ্টির সক্ষমতা আছে পুতিনের?
অবশ্যই আছ।, পুতিনের কাছে এমন অস্ত্রাগার আছে। যেখানে এ রকম আনুমানিক পাঁচ হাজার ৯৭৭ যুদ্ধাস্ত্র আছে। এর মধ্যে এক হাজার ৬০০ অস্ত্র যেকোনও সময় যেকোনও পরিস্থিতিতে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত থাকে। ভয়ঙ্কর এই অস্ত্রগুলো স্থল, সাবমেরিন এবং প্লেন থেকে নিক্ষেপযোগ্য।
এর মধ্যে রয়েছে অ-কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র, যেগুলোর ধ্বংসাত্মক শক্তি কিছুটা কম। আরও রয়েছে তেজস্ক্রিয় ক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র, যেগুলো বেসামরিক আক্রমণে নয়, বরং সামরিক স্থাপনা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। এগুলো ল্যান্ড মাইন থেকে টর্পেডো যেকোনও কিছুই হতে পারে। এসব অস্ত্র এখন পর্যন্ত কোনও যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়নি।
এছাড়াও রাশিয়ার কাছে আরও ভয়ঙ্কর কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। সেগুলো শক্তিশালী দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র।
এর মধ্যে রয়েছে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা রাশিয়া থেকে মাত্র ২০ মিনিটে ব্রিটেন এবং ৩০ মিনিটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম। এই কৌশলগত অস্ত্রগুলো খুবই ভয়ঙ্কর। সাতান নামের এই অস্ত্রের বিস্ফোরণ ঘটলে মুহূর্তেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে পুরো শহর।
এই ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার নিঃসন্দেহে পুতিনের জন্যও বিশাল ঝুঁকি নিয়ে আসবে। কারণ, তিনি জানেন যে ন্যাটো বাহিনীর কাছেও সমান মারাত্মক অস্ত্রের মজুদ রয়েছে। যুক্তরাজ্যের কাছে ২২৫টি। ফ্রান্সের রয়েছে ২৯০টি। এছাড়াও আমেরিকার কাছে আছে পাঁচ হাজার৪২৮টি। তবে তিনি হয়তো প্রতিশোধের কথা চিন্তাই করেননি। সূত্র: দ্য সান