সারাবিশ্বে নতুন আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও এর প্রভাব বিস্তার করেছে। ইতিমধ্যেই দেশটিতে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২১৩ জন দাঁড়িয়েছে। দিল্লিতে সবচেয়ে বেশি ৫৭ জন করোনার নতুন এই স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছেন।
মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, রাজস্থান ও কেরালাতেও অবস্থা উদ্বেগজনক। সে কারণে আগেভাগেই ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দেশটির সরকার। ওমিক্রন মোকাবিলায় প্রয়োজনে রাতে কারফিউয়ের সুপারিশও করা হয়েছে।
কেন্দ্রের বক্তব্য, করোনার যতগুলো স্ট্রেন এসেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে সংক্রামক এই ওমিক্রন। অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকেও তিনগুণ বিপজ্জনক এই ভ্যারিয়েন্ট। ওমিক্রনের প্রভাব যাতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো বিপজ্জনক না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে এখন থেকেই প্রস্তুত হতে হবে। প্রয়োজনে ফের কড়াভাবে চালু করতে হবে নাইট কারফিউ। রাজ্যে রাজ্যে খুলতে হবে ওয়ার রুম।
ওমিক্রনের প্রভাব থেকে বাঁচতে রাজ্যগুলোকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।
রাজ্যগুলোকে লেখা এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি বিপদসীমা বেঁধে দিয়েছে। কেন্দ্র বলছে, যে যে এলাকার পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশের বেশি বা যে যে এলাকায় অক্সিজেন পরিষেবা থাকা আইসিইউ বেডগুলোর ৪০ শতাংশ ভর্তি, সেই সব এলাকা বিপদসীমা অতিক্রান্ত বলে ধরা হবে। এই বিপদসীমা যাতে না পেরোয়, তা নিশ্চিত করতে দ্রুত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলোকে।