মানিকগঞ্জে যুবলীগ নেতার হাতে লাঞ্ছিত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’

0
17

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শহিদুল ইসলাম সোরহারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বিরুদ্ধে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মানববন্ধন করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

মানববন্ধনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আওলাদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অসীত কুমার নাগ, ডা. আবুল হাসেম, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মিয়া, উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাঈদুর রহমানসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলামের কাছে দেয়া হয় স্মারকলিপি।

মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আওলাদ হোসেন বলেন, ‘জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে এভাবে লাঞ্ছিত করা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটা শুধু তাকে অপমান করা না, সমস্ত মুক্তিযাদ্ধাকে অপমান করা। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

স্মারকলিপি থেকে জানা যায়, কয়েকদিন আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুলের শ্যালিকা ও তার স্বামীর মধ্যে ঝামেলা হয়। এ নিয়ে সোমবার ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের বাড়িতে বিচার বসে। এতে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা ও তার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

বিচারের এক পর্যায়ে আব্দুর রাজ্জাক ক্ষিপ্ত হয়ে প্লাস্টিকের চেয়ার নিয়ে শহিদুলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন তিনি। সেখানে থাকা লোকজন পরে তাকে উদ্ধার করে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।

ঘটনার সময় আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন আহমেদ মোহন মাস্টারকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল বলেন, ‘একজন নামধারী আওয়ামী লীগের কর্মীর কাছে লাঞ্ছিত হতে হবে, এটা কষ্টদায়ক। মুক্তিযোদ্ধা হয়েও এভাবে লাঞ্ছিত হতে হবে চিন্তাও করি নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এর বিচার চাই।’

যুবলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, তাকে হেয় করতে চক্রান্ত চলছে। তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন, তবে কাউকে মারধর বা লাঞ্ছিত করেননি।

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা তো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের প্রশ্নই উঠে না।’

ইউএনও সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here