বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, কোভিড-১৯ টিকা দেয়ার ফলে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হওয়ায় অভ্যন্তরীণ রুটে এয়ারলাইন্সগুলোর যাত্রী ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটে এয়ারলাইন্সগুলোর ব্যবসা ইতোমধ্যে ৮০ ভাগের উপর পুনরুদ্ধার হয়েছে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ পর্যটন শিল্পও আবার উজ্জীবিত হয়ে উঠছে।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে মহামারিকালে আকাশ পথে যাত্রী পরিবহনে সেবা প্রদানকারী এয়ারলাইন্সগুলোকে সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে মনিটর পত্রিকা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে দেশে দেশে লকডাউনে যখন সব কিছু থমকে গিয়েছিল, তখনো দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, আমাদের এভিয়েশন কর্মীরা জীবনের মায়াকে তুচ্ছ করে দায়িত্ব পালন করেছেন। অপারেশন সীমিত করা হলেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দর একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণেই তখন সারা বিশ্ব থেকে আমরা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়নি।
তিনি আরও বলেন, চীনে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর এই রোগের ভয়াবহতায় মানুষ যখন এক অনিশ্চিত আতঙ্কে আতঙ্কিত, তখন চীনের অবরুদ্ধ উহান শহর থেকে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বিমান। লকডাউনের পুরো সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও আমাদের অন্য দুটি দেশীয় এয়ারলাইন্স দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছে। বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া আমাদের নাগরিকদের বিশেষ বিমানে করে দেশে ফিরিয়ে এনেছে। প্রবাসী কর্মীদের যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট দেশে পৌঁছে দিয়েছে। দেশীয় এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দর কর্মীদের আন্তরিকতা, সাহসিকতা ও দেশপ্রেম সবার জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
মাহবুব আলী বলেন, মহামারি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় মাস্কসহ অন্যান্য মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ও ওষুধ বিদেশ থেকে দেশে নিয়ে এসেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ইউএস-বাংলা। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসায় লাভের কথা চিন্তা না করে দেশ ও জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছে। ব্যবসায় ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও তারা তাদের কার্গো ফ্লাইট অব্যাহত রেখেছে। তাদের এই কর্ম প্রশংসনীয় উদাহরণ।
মনিটর পত্রিকার সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামুদি, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান প্রমুখ।