রিয়াজুল ইসলামঃ
লর্ডস-এ প্রথম ইনিংসে তামিম ইকবাল ৫৫ রানে (রান)আউট হলেন। ড্রেসিংরুমে পা রেখেই তিনি সেখানকার একজন পরিচালককে জিজ্ঞাসা করলেন, “কেন অনার্স বোর্ডটি সেঞ্চুরিয়ানদের জন্য সংরক্ষিত? ফিফটি করলে কি নাম লেখানো যায়না?” জনৈক পরিচালক জবাব দিলেন, “আপনার নামটি লেখার জন্য আপনাকে সেঞ্চুরি করতেই হবে।”
এরপর তামিম বলেছিলেন, “ঠিক আছে, আমি সেঞ্চুরি ছাড়া লর্ডস ছাড়ছি না।”
পরেরদিন ফলোয়ানে পড়ে ২য় ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমে করে ফেললেন সেঞ্চুরি। তখনো ৮৭ রানে ব্যাট করছিলেন তামিম। এরপর ৮৭ থেকে ১০০’তে যেতে তামিম খেললেন মাত্র ৪ বল। টিম ব্রেজন্যানের চার বলে নিলেন ৪,৪,২,৪!
সেঞ্চুরি করার পর ড্রেসিংরুমের দিকে দৌড় দিয়ে একটা লাফ দিলেন। হাতের ইশারা দিয়ে ইঙ্গিত দিয়ে যেন বললেন “আমার নামটা এবার অনার্স বোর্ডে তুলে রাখো। বলেছিলাম নাহ যে সেঞ্চুরি না করে লর্ডস ছাড়ছি না।”
অনার্স বোর্ডে তামিম লিখিয়ে ফেললেন নিজের নাম, তাও আবার দেশের হয়ে দ্রুততম (৯৪ বলে) সেঞ্চুরি করে! ১৫ চার ও ২টা ছক্কায় সাজানো ১০৩ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস। লর্ডসে দ্রুততম সেঞ্চুরির ভিতরে সেটা ছিল ২ নম্বরে। ১৯৯০ সালে মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন ৮৮ বলে লর্ডসে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেন। দিনটা ছিল ২০১০ সালের আজকের এই দিন।