লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা বেজে ১৫ মিনিট। হিথ্রো এয়ারপোর্ট এলাকায় তাপমাত্রা মাইনাস ১ ডিগ্রি, সঙ্গে ঝরছে কিছুটা বৃষ্টি। ঠিক এমন সময়ে রানওয়ে স্পর্শ করল বেগম জিয়াকে বহনকারী উড়োজাহাজ। ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণে কোটি মানুষের মোনাজাত আর এক মাতৃস্নেহ বঞ্চিত সন্তানের অপেক্ষা।
সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে। দীর্ঘ সাত বছর পর অবশেষে মিলিত হন মা-ছেলে।
মাকে জড়িয়ে ধরেন তারেক রহমান। দেশনেত্রী পরিচয় কিছু সময়ের জন্য পেছনে ফেলে বেগম জিয়া হয়ে ওঠেন মমতাময়ী মা।
এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত লোকজন বলতে শুরু করেন, এই মিলন কত আকাঙ্ক্ষার সেটি না দেখলে বোঝা যাবে না। এই মিলনের উষ্ণতা এতই তীব্র যে, মাইনাস তাপমাত্রার তুষারাবৃত লন্ডন যেন উষ্ণ হয়ে উঠল!
এ দিন বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমানসহ জিয়া পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের সদস্যরা।
এছাড়া, বিমানবন্দরে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমেদ।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক জানান, ম্যাডামকে নিয়ে লন্ডন ক্লিনিকের পথে রওনা হয়েছেন চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যরা।