আর্জেন্টিনা দল যেন এক অস্থিতিশীল পাগলা ঘোড়া। তারকা খেলোয়াড়দের ছড়াছড়ি তারপরও সেরা একাদশ নির্বাচন করা হয়ে উঠে না। কোচ যায় কোচ আসে। বছর গড়িয়ে বছর আসে তারপরও আর্জেন্টিনা দল হয়ে উঠতে পারে না। মেসির অভিষেকের পর থেকে একই চিত্র। মাত্রাতিরিক্ত পরীক্ষা নিরীক্ষাকেই দায়ী করছেন অনেকে। উরুগুয়ের বিপক্ষে স্বস্তির জয়ের আগে ৩ ম্যাচ ড্র করে আলবিসেলেস্তরা। দলে কারও জায়গাই স্থায়ী নয়। নতুনদের যথেষ্ট সুযোগ দেয়ার পর আর্জেন্টিনা দলের কোচ আর পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে চাখাবেন চান না
দলে একমাত্র একজনের জায়গাই এখন পর্যন্ত নিশ্চিত। তিনি যে লিওনেল মেসি, তা আর বলে না দিলেও হয়। তবে যেসব জায়গা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তা হলো দলের মাঝমাঠ আর আক্রমণভাগ।
লিওনেল মেসি বাদে আক্রমণে কেউই তেমন অবদান রাখতে পারছেন না। যোগান আসছে না মাঝমাঠ থেকেও। কোচ স্ক্যালোনিকে বাড়তি ভাবনা উপহার দিচ্ছে মিডফিল্ডারদের রক্ষণাত্মক দায়িত্বে ঘাটতি। তাই পরিবর্তন আসতে পারে দুটো ভাগেই।
তবে একটা পরিবর্তন করতে বাধ্য স্ক্যালোনি। জিওভানি লো চেলসোকে উরুগুয়ের বিপক্ষে তুলে নিতে হয়েছিল মাঝমাঠ থেকে, তার বদলে এসেছিলেন এজেকিয়েল প্যালাসিওস।
ম্যাচের পরের খবর, বাম গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন লো চেলসো। ম্যাচ শেষে যে পট্টি বাঁধা হয়েছিল, সেটা এখনো খোলা হয়নি তার পা থেকে। ফলে এই জায়গায় পরিবর্তনটা অবশ্যম্ভাবী।
চোটের কারণে আগের ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন না লেয়ান্দ্রো পারেদেস। তিনি ফিরতে পারেন লো চেলসোর জায়গায়।
পারেদেসের জায়গায় গেল ম্যাচে যিনি দলে এসেছিলেন, সেই গিদো রদ্রিগেজ আগের ম্যাচে দলকে দিয়েছিলেন কিছুটা রক্ষণাত্মক স্থিতি, করেছিলেন মহামূল্য গোলটাও। তার জায়গা অনেকটাই পাকা, সঙ্গে আরেক মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পলেরও। ফলে মাঝমাঠে আগামী মঙ্গলবার সকালে দেখা যেতে পারে ডি পল, গিদো ও পারেদেস ত্রয়ীকে।
এ তো গেল মাঝমাঠের সমস্যা। আক্রমণে? মেসি বাদে নিকো গঞ্জালেজ আর লাওতারো মার্টিনেজ যে পারফর্মই করতে পারছেন না, সে বিষয়ে কী ভাবছেন কোচ স্ক্যালোনি? শোনা যাচ্ছে, পরিবর্তনের বিষয়ে ভাবছেন তিনি।
আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, আগের ম্যাচে ফাঁকা পোস্টে গোল করতে ব্যর্থ লাওতারো বাদ পড়তে পারেন, তার জায়গায় দলে ফিরতে পারেন সার্জিও আগুয়েরো। আরেকজন অবশ্য চোটের কারণে বাদ পড়তে যাচ্ছেন। নিকো গঞ্জালেজের চোটের কারণে দলে আসতে পারেন আনহেল ডি মারিয়া।