ফ্রান্সের ক্যালে থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টার সময় প্রায় তিনশ’ ইউক্রেনীয় নাগরিককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্য থেকে যতগুলো ভিসা ইস্যু করা হয়েছে, সেই সংখ্যাও প্রায় সমান।
অনেক শরণার্থী ফ্রান্সের ক্যালে বন্দর দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করে। ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরু করার পর থেকে ৫৮৯ জন ইউক্রেনিয়ান এই সীমান্তে এসেছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাদের মধ্য থেকে ২৮৬ জনকে যুক্তরাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
এর আগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ব্রিটেন খুবই ‘আন্তরিক দেশ’ কিন্তু কারা প্রবেশে করার চেষ্টা করছে, তাদের যাচাই-বাছাই করে দেখতে চায়।
উল্লেখ্য, ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে এই অভিযান শুরু হয়। আজ মঙ্গলবার অভিযানের ত্রয়োদশতম দিন। বিগত ১২ দিনের এই অভিযানে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখল করে নিয়েছে রুশ সেনারা। এতে দেশটির বিভিন্ন নগরীতে হতাহত হয়েছে বহু সংখ্যক মানুষ।
রুশ সামরিক অভিযান শুরু পর এরই মধ্যে ১৫ লাখের বেশি ইউক্রেনীয় শরণার্থী প্রতিবেশি বিভিন্ন রাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এদিকে, রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের তাদের সামরিক অভিযানের অর্থ যুদ্ধ নয়। বরং বিশ্বব্যাপী একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করা, দেশটির নিরস্ত্রিকরণ ও ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি প্রতিহত করার জন্য তিনি এই অভিযান চালাচ্ছেন। সূত্র: বিবিসি