বছরের শুরুতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূর বই বিতরণল্যেকে সরকারের একটি বড় সাফল্য হিসাবে দেখা হয়। বাংলাদেশে ২০১০ সাল থেকে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হচ্ছে। বছরের শুরুতেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দেবার অঙ্গিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা থাকলেও সেটা তোয়াক্কা না করে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার পীরগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই নিতে গুনতে হচ্ছে নগদ টাকা। বই উৎসবের নামে টাকার বিনিময়ে নতুন বই বিতরণের, বই বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের। অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু বরক সিদ্দিক টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করেন। শ্রেণিভেদে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০ থেকে ৫০ টাকা নেন তিনি।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর অবিভাবকেরা বলেন, দুর্গম চরাঞ্চল এলাকায় বিধায় এখানে প্রশাসনের নজরদারি কম। এই সুযোগে এরা যা খুশি তাই করেন। শুনেছি পরীক্ষার ফি নাকি মওকুফ করেছে সরকার। এই প্রধান শিক্ষক তো পরীক্ষার ফিও নিয়েছেন।
এছাড়াও, এই বই তো শিক্ষার্থীদের জন্য উপহার। উপহার দিয়ে আবার ফেরত নেয় নাকি! প্রধান শিক্ষক তো পুরাতন বইও ফেরত নিয়ে নিলেন। তাহলে এইটা আবার উপহার হলো কি করে? পুরাতন বই তুলে কেজি দরে বিক্রির অভিযোগও করেন ওই শিক্ষার্থীর অবিভাবকেরা।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু বকর বলেন, দুইবার বই বিতরণ করছি, আমাদের যাওয়া আসা বাবদ খরচ হয়েছে তাই শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা নিয়েছি। কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, বই উৎসবের নামে শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা নেওয়া অপরাধ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিবো।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম মন্ডল বলেন, বই উৎসবের নামে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করার জন্য এক পয়সাও নেওয়া যাবে না। এরকম ধরনের অভিযোগ উঠলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।