চার দিনের মাথায় সাত সকালে আবারও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো বাংলাদেশ। মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ভূ-কম্পনটির উৎপত্তিস্থল চীনের তিব্বতে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। ভূ-কম্পনটি বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, ভারত, ভুটানে অনুভূত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, আজ সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে। ইন্ডিয়ান প্লেট ও ইউরেশিয়া প্লেটের বিস্তৃতি এ অঞ্চলে। ইউরেশিয়া ও ইন্ডিয়ান টেকটোনিক প্লেটের ফল্টে বড় ধরনের আঘাতের কারণে এর আগেও এ অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। ২০১৫ সালে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল আরও একটি শক্তিশালী আফটার শক হয়। ১৯৩৪ সালের পর নেপালে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল এটি। এতে ৮ হাজার ৬৬৯ জন নিহত হয়।। বহু স্থাপনা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।