টি-টোয়েন্টি মহাতারকা ক্রিস গেইল এবারের বিপিএলে খেলবেন ফরচুন বরিশালের হয়ে। প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগেই তারা নিশ্চিত করেছিল সাকিব আল হাসান, দানুশকা গুনাথিলাকা ও মুজিব উর রহমানকে। ড্রাফট শুরুর আগে দলটি জানায়, তৃতীয় বিদেশি হিসেবে দলে তারা দলে নিয়েছে গেইলকে।
এবারের বিপিএলে ড্রাফটের আগে একজন দেশি ও তিনজন বিদেশিকে সরাসরি দলে নেওয়ার সুযোগ আছে। বরিশাল সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করল দারুণভাবেই। সাকিব ও মুজিবের কার্যকারিতা নিয়ে তো প্রশ্নই নেই। টি-টোয়েন্টিতে গুনাথিলাকাও দারুণ কার্যকর। গেইল সেই আগের মতো বিস্ফোরক ও ধারাবাহিক না হলেও এখনও তার আবেদন তুমুল।
ড্রাফটের মাঝামাঝি পর্যায়ে জানানো হয়, কুমিল্লা ড্রাফটের আগেই নিশ্চিত করেছে ফাফ দু প্লেসি, সুনিল নারাইন ও মইন আলির মতো তিন তারকার নাম।
দু প্লেসি বিপিএলে খেলবেন প্রথমবার। নারাইন সবশেষ ২০১৯ আসরে খেলেছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে। মইন বিপিএল খেলেছেন একবারই। ২০১৩ আসরে দুরস্ত রাজশাহীর হয়ে ৫টি ম্যাচ খেলেছিলেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার।
বিপিএলের নিয়মিত মুখ থিসারা পেরেরাকে ড্রাফটের আগেই নিয়েছে খুলনা।
ড্রাফটের আগে দল পাওয়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ বিদেশি আর আছেন সিলেট দিনেশ চান্দিমাল ও কেসরিক উইলিয়ামস, ঢাকায় নাজিবউল্লাহ জাদরান ও ইসুরু উদানা, খুলনায় আফগান পেসার নাভিন উল হক।
প্রথম আট রাউন্ড শেষে ড্রাফটে দল পেলেন যারা:
কুমিল্লা – লিটন দাস, শহিদুল ইসলাম, ইমরুল কায়েস, তানভির ইসলাম, আরিফুল হক, নাহিদুল ইসলাম, কুসল মেন্ডিস, ওশেন টমাস।
ঢাকা – তামিম ইকবাল, রুবেল হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, শুভাগত হোম চৌধুরি, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, আরাফাত সানি মোহাম্মদ শাহজাদ, ফজলহক ফারুকি।
সিলেট– মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, আল আমিন হোসেন, নাজমুল ইসলাম অপু, এনামুল হক, সোহাগ গাজী, রবি বোপারা, অ্যাঞ্জেলো পেরেরা।
খুলনা-শেখ মেহেদি হাসান, সৌম্য সরকার, কামরুল ইসলাম রাব্বি, ইয়াসির আলি চৌধুরি, ফরহাদ রেজা, রনি তালুকদার, সিকুগে প্রসন্ন, সিকান্দা রাজা।
চট্টগ্রাম– শরিফুল ইসলাম, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, মুকিদুল ইসলাম, রেজাউর রহমান রাজা, সাব্বির রহমান, চাডউইক ওয়ালটন, রায়দ এমরিট।
বরিশাল – নুরুল হাসান সোহান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি হাসান রানা, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, তৌহিদ হৃদয়, জিয়াউর রহমান, ওবেড ম্যাককয়, আলজারি জোসেফ।