রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই যতই দিন গড়িয়েছে ততই সয়াবিন তেলের হাহাকার বেড়েছে । জ্বালানি তেলের মতই ভোজ্যতেল মানুষের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপকরণ। জ্বালানী তেল ফুরিয়ে গেলে যেমন মিল-ফ্যাক্টরি চলে না তেমনি ভোজ্যতেল ফুরিয়ে গেলেও রান্নাবান্না থমকে যায়। বলতে গেলে তেল ছাড়া রান্না করা এক প্রকার অসাধ্য ব্যাপারই হয়ে গেছে। কারণ বছরের পর বছর আমরা তেলের উপর এভাবেই নির্ভরশীল হয়ে গেছি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের না হয় কোন বিকল্প নেই তাই তারা বাধ্য হয়েই সয়াবিন কিংবা পামওয়েলের উপর নির্ভরশীল হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ চাইলেই তো ভোজ্যতেলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে। এমনকি বিদেশে রপ্তানিও করতে পারে। এজন্য আামদের সরিষার আবাদ বাড়াতে হবে। গবেষণা করতে হবে কি করলে ধানের মত সরিষার আবাদও দ্বিগুন করা যাবে।
পৃথিবীতে বাংলাদেশের মত এমন খাঁটি মাটি আর কোথাও নেই। আগামীর বিশ্বে খাদ্যসংকট দেখা দিবে তা অবধারিত। পরাশক্তিগুলোর কারণে বিশ্বে অস্থিরতা থাকবে। আন্তঃরাষ্ট্রীয় বাণিজ্যও থমকে যেতে পারে। ইন্দোনেশিয়া এর বড় উদাহরণ। কারণ তারা হুট করেই তেল রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। এজন্য আমাদের অবশ্যই ভোজ্যতেলের সেল্ফ ডিপেন্ডেন্সি বাড়াতে হবে। তাছাড়া সয়াবিন/পামওয়েলে স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর সেকথা কারও অজানা নয়। সেদিক বিবেচনায় পুরো বিশ্বে সরিষার তেলের চাহিদা হতে পারতো আকাশচুম্বী সেটার মার্কেটিং না করে বছরের পর বছর আমরা কেন সয়াবীন/পামওয়েল নির্ভর হচ্ছি? এই জায়গাটিতে সরকারের কাজ করা জরুরী।