হারানোর রসায়নটাই এমন যত জীবনকাল কমবে তত গাড় হবে তার রং। বাল্যকাল সবাই অনুভূতি দিয়ে আলিঙ্গন করতে চায় জীবনের শেষ অবধি। বাল্যকাল জীবন শুরুর সময়কালকার ঘটনাপ্রবাহের সুখকর সব স্মৃতি। আবেগ তাড়িত হবার বয়সটা কেটে গেলে বাস্তব জীবনের বেড়াজালে কিশোর যখন যুবক। দায়িত্ব নেয়ার সময়। কারো সন্তান হওয়া পরিচয়ের সাথে কারো বাবা হওয়ার সামাজিক পারিবারিক আবদার বাড়তে থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে যে সুযোগটা কমে যায়।
এক জীবনে কী কী হতে চাও তুমি। এদেশে প্রতিবছর ২০০০ উপরে ক্যাডার সার্ভিসে যোগদান করে। হাজার পাচেক ডক্টর ইঞ্জিনিয়ার গ্রাজুয়েশন সমাপ্ত করে। ধরে নাও, তুমি তাদের একজন। তাতে কী তোমার আহমরি কোন পরিবর্তন হয়ে যাবে। মনে রাখবে তুমার ক্ষমতা তুমার কোন কাজে আসবে। চোর পাহারার ফাইল নথিবদ্ধ করতে করতে তোমার জীবন শেষ, যেটা তুমি না হলেও এক্স, ওয়াই, জেড দিয়েও সম্পন্ন করা যেত।
অল্প সময়ের মূল্যবান জীবনটা শুধু টাকার পেছনে ছুটতে যেয়ে একদিন কিন্তু থামতে হবে। হাজার কোটি সম্পত্তি দিয়ে মামলায় জরাবে তুমারই বংশধর। খাবার খাওয়া যেমন তোমার শারীরিক চাহিদা পূরণের হাতিয়ার। মন, সুস্থ জীবনেরও কিছু চাহিদা বেমালুম ভুলে যাই।
জীবন ধারনের জন্য কর্মজীবি হওয়া দরকার। জীবিকা অর্জনের উপায় যদি হয় তুমি যা চাও না ,যেটা করতে যাওয়া তাহলে সেটা শুধু চাকরি নামক তকমাটা পাবে। তোমার প্যাশন যদি হয় তোমার কর্মটা তাহলে, জীবিকার সাথে তোমার মনের খোরাকও পূরণ হয়ে যাবে অবলীলায়।
এদেশে সুযোগ কম, প্রতিযোগিতা বেশি। অনন্য না হয়ে সাধারণের জন্য জায়গা কম। হাজারটা সমস্যা। পরীক্ষার প্রশ্ন ফাস। অবাক হবে না। সব সম্ভবের দেশে তুমিও কিছু সম্ভব করে দেখাও। চামচামির একটা ডিপ্লোমা দরকার। যাদের আছে ধরে নিলাম তারা তুমার থেকে বাড়তি সুবিধা নিয়ে টাকার বস্তা বানাবে। তুমি টাকার মানিব্যাগ তো পাবে। কিছু একটা করে জীবন নষ্ট করার চেয়ে তোমার আগ্রহকে, প্যাশনকে জীবিকা অর্জনের উপায় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পার কিনা চেষ্টা করে দেখ।