বর্তমানে দেশের অন্যতম একটি সমস্যা বেকারত্ব। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনায় তৈরি হওয়া সেশন জট। সঙ্গত কারণেই শিক্ষার্থীদের মনে দেখা গিয়েছে এক অনিশ্চিত আশংকা। তবে ‘ইয়ুথ এ্যাডভান্সমেন্ট ইন্সটিটিউট’ তরুণদের সাহসিকতা, চঞ্চলতাকে ফিরিয়ে আনতে আয়োজন করছে ‘ইয়ুথ ক্যারিয়ার সামিট ২০২১’।
এ প্রসঙ্গে ইয়ুথ এ্যাডভান্সমেন্ট ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সেফাতুল করিম প্রান্ত বলেন, ‘এই ইভেন্টে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যুক্ত হবেন, ফলে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একটি কমিউনিটি গঠিত হবে। নেটওয়ার্কিং বাড়বে। পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে একটি শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করার সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞদের কাছে নিজের মতামত ও প্রশ্ন করার মাধ্যমে তরুণরা একটি সঠিক ও সময়োপযোগী দিক-নির্দেশনা পাবে।’
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি তরুণদের দক্ষতাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটি অনেকেই ভুলে যান। এর পাশাপাশি গতানুগতিক চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায় ও ক্যারিয়ার গঠনের হাতিয়ার হিসাবে গড়ে উঠতে পারে। এছাড়াও আউটসোর্সিং, কন্টেন্ট তৈরি, ফটোগ্রাফি, ইউটিউবিং, সংবাদ উপস্থাপনা আরজে সহ এমনকি কৃষিও কিভাবে বর্তমান সময়ে ক্যারিয়ার গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
ইভেন্টের আহবায়ক রিয়াজ উদ্দীন আকাশ জানান, ‘তরুণদের একটি পূর্ণ ক্যারিয়ার গাইডলাইন দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের এই আয়োজন। শিক্ষার্থীরা গতানুগতিক ধারণা থেকে বের হয়ে সম্ভাবনাময় অন্যান্য পেশার দিকে মনোযোগী হয়ে সে লক্ষ্যে নিজেকে তৈরি করবে। সেই সাথে অভিজ্ঞ অতিথিদের কাছ থেকে জানতে পারবে তাদের সফলতা, পরিশ্রম ও ধৈর্য ও অনুপ্রেরণার গল্প।’
ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের জন্য রয়েছে সার্টিফিকেটসহ আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
ইভেন্টের প্রাপ্ত অর্থের একাংশ ব্যয় করা হয়েছে পবিত্র ঈদ-ফিতরের পূর্বে পথ শিশুদের মাঝে এবং বাকি অর্থ ব্যয় করা হবে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে।