রোযা আগে না বর্ষবরণ আগে? গত ৩ বছর ধরেই রমজান মাসে বর্ষবরণ পড়াতে খুবই বিড়ম্বনায় বাঙালি সংসস্কৃতির ধারক ও বাহকেরা। কারণ রোযার মাসে পহেলা বৈশাখ জমছে না। পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নের একটি বাংলাদেশে জন্ম নেয়ার পর আপনার কাছে যদি কেউ জানতে চায়- আপনি কে ভাই? এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য যেকোন একটি উত্তর বেছে নিন। প্রশ্নটি কেবলমাত্র মুসলমানদের জন্যেই।
কারণ যারা মুসলমান নন তাদের জন্য পৃথিবীতে কঠিন বলতে কিছু নাই। তারা চাইলেই মদ খেতে পারে চাইলেই অর্ধনগ্ন হতে পারে চাইলেই যা কিছু তাই করতে পারে । সেই তাদের সাথে কখনই মুসলমানদের তুলনা হতে পারে না। আপনি যেদিন থেকে বুঝতে শিখেছেন আপনি মারা যাবেন-মৃত্যু অনিবার্য এবং মৃত্যুই শেষ নয় অবশ্যই পুনরুত্থান আছে সেদিন থেকেই পুরো বিশ্বের তামাম ধর্ম, গোত্র থেকে আপনি এবং আপনার ধর্ম আলাদা।
কোন মুসলমানের কাছেই মুসলমান পরিচয়ের চেয়ে বড় কোন পরিচয় থাকতে পারে না। যে কারণে যারা ইসলাম সম্পর্কে মোটামোটি জ্ঞান রাখে তারা কখনই মুসলমান পরিচয়কে পেছনে ফেলে নিজেকে বাঙালি পরিচয় দিতে পারবে না। কারণ মৃত্যুর পর বাঙালি পরিচয়ের ভ্যালু ০০। তার মানে এই নয় আমরা নিজেদের বাঙালি পরিচয় দিতে কুণ্ঠাবোধ করবো। অবশ্যই আমরা বাঙালি।
অবশ্যই আমরা আমাদের বাঙালি পরিচয়ে গর্বিত। কিন্তু এই বাঙালি পরিচয় দিতে গিয়ে এমন কিছু কখনই করবো না যা আমাদের মুসলমানিত্বের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যায়। রোযার চেয়ে বর্ষবরণ কখনই বড় হতে পারে না। কলাবিজ্ঞানীদের কেউ কেউ বলা শুরু করেছেন একটা দিন রোযা না রাখলে কি হয়? ১ দিন রোযা না রেখে বর্ষবরণ করলে কি হয়! তাদের বলছি এই দেশে রমজান মাসে বর্ষবরণ কখনই হিট হবে না। কারণ ৯২% মুসলমানের দেশে বাঙালি সংস্কৃতি কখনই মুসলমানের শ্রেষ্ঠতম মাসের চেয়ে স্পেশাল কিছু নয় ।
সবাইকে ধন্যবাদ।
আমি একজন গর্বিত বাংলাদেশি। তারও আগে আমি একজন মুসলমান। কারণ মৃত্যুর পর কেবলমাত্র মুসলমান পরিচয়টাাই কাজে আসবে। কে চাইনিজ আর কে পাকিস্তানী কে মিশরীয় আর কে বাঙালি কোন তাৎপর্য থাকবে না। সৃষ্টিকর্তার কাছে তার ধর্ম কর্মের পরিচয়ই সব। কাজেই ইসলামের বিধিবিধানকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দেবো।