দিন যাচ্ছে আর বাড়ছে জ্বালানী তেল-গ্যাসের সংকট। এক সময় বিশেষজ্ঞ পন্ডিতরা বলাবলি করেছিলো বাংলাদেশ গ্যাসের উপর ভাসছে- সেই পন্ডিতসকলরাও আজ চুপ। কারণ একাধিক বিশেষজ্ঞের মতে বাংলাদেশে যে পরিমান গ্যাস মজুদ রয়েছে তা দিয়ে আর মাত্র ১০ বছর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। গ্যাসের এই চাহিদা আর হাহাকারের দিনগুলোতে ঢাকা শহরের নির্বোধ মহিলাদের কথা মনে পড়ছে খুব। ৮০/৯০ এর দশকে এমনকি ১৫-১৬ বছর আগেও এই শহরের মহিলারা ১টা ম্যাচের কাঠি বাচাতে ঘন্টার পর ঘন্টা চুলা জ্বালিয়ে রাখতেন। মনে পড়ে সেসব ? রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কুপ্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানী সংকট কেবল বেড়েই চলেছে। ইন্টারনেট ছাড়াও পৃথিবী চলবে কিন্তু জ্বালানী ছাড়া পৃথিবী কল্পনা করা যায় না। একেবারে সবকিছু একসাথে স্থবির হয়ে পরবে। সেজন্য আমাদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
ক্রাইসিস মোমেন্টে অনেক কিছুই শিথিল করতে হয়। যেহেতু জ্বালানী তেলের চেয়ে গ্যাসের সংকট আরও বেশি সেজন্য আমরা আপাতত পরিববেশবাদীদের কথা মাথায় না রাখি। ঢাকার বাইরের সকল যানবাহনে গ্যাসের পরিবর্তে ডিজেল অ্যালাউ করে দিতে পারে সরকার। কারণ সবার আগে দরকার বিদ্যুৎ। এখনও সেরকম কোন ক্রাইসিসে পড়েনি বাংলাদেশ কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবকে মাথায় রেখে বাংলাদেশ তার নিজ দেশের উৎপাদন ঠিক রাখতে অবশ্যই বিদ্যুৎ ও জ্বালানীকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে পারে। দেশের স্বার্থের উপরে কিছু নাই। কি হবে কার্বন নিঃসরণের কথা ভেবে? যদি আপনি আপনার দেশের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানী নিশ্চিত করতে না পারেন? আপাতত গ্যাস সেভিং সম্ভাব্য সবগুলো প্ল্যান বি কাজে লাগানো যেতে পারে। কারণ বাংলাদেশের বেশিরভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাসের উপর নির্ভরশীল। রূপপুর পারমানিবক বিদ্যুতকেন্দ্র চালু না হওয়া পর্যন্ত গ্যাসের ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। এক্ষেত্রে গ্যাস সেভিংসের সবচেয়ে দ্রুততম ও কার্যকর উপায় হচ্ছে যানবাহনে ডিজেল ব্যবহারে শিথীলতা আরোপ করা।