মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কি ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাবেন- প্রশ্নটি কোটি টাইগার সমর্থকের। আইসিসি ইভেন্ট মানেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের চওড়া ব্যাট। একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির ম্যাজর টুর্নামেন্টে ৩ টি শতকও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। যার মধ্যে ২ টি শতক আবার অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে। আরেকটি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। যে কারণে বিশ্বকাপ আসলেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ঘিরে আলোচনা হয় বেশি। মাত্র ৬ মাস পরেই ভারতের মাটিতে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। যে বিশ্বকাপকে ঘিরে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা বড় স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন তাও ৩/৪ বছর আগে থেকেই। সে স্বপ্ন দেখা যে মোটেও বাড়াবাড়ি নয় তার পেছনে যুক্তিও আছে। কেননা ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ যে গত এক দশক ধরেই প্রতিষ্ঠিত শক্তি। ঘরের মাটিতে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ খারাপ করছে না বিদেশের মাটিতেও। অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডের মত কন্ডিশনে ইংল্যান্ডের মত দলকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা সে কথাই বলবে। কিংবা ইংল্যান্ডের মাটিতে ৩ টি জয়ও ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার কথাই বলবে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ৩ জন বড় তারকা সাকিব-তামিম-মুশফিকের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপের কথাও থাকছে। সাকিব আল হাসানকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিলো বাংলাদেশ কবে বিশ্বকাাপ জিতবে সে প্রশ্নের জবাবে সাকিবও উত্তর দিয়েছিলেন ২০২৩ সালে। কারণ হিসেবে সাকিব বলেছিলেন তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ তাই। এসবই পুরোনো কথা। নতুন বলতে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য সেই বিশ্বকাপ দলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সুযোগ পাবেন তো? টেস্ট ও টি-২০ রাডার থেকেই আরও আগেই সরে গেছেন। স্বপ্নটা কেবলই তাই ২০২৩ বিশ্বকাপ ঘিরেই। কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণের পথটা যেন ক্রমেই সংকোচিত হতে শুরু করেছে। ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খুব একটা খারাপ না করলেও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ দিন পরে শুরু হওয়া সিরিজের দলেই যে সুযোগ পাননি। এই সুযোগ না পাওয়াকে ঘিরেই টাইগার সমর্থকদের মনে দুশ্চিন্তা। তবে কি হাতুরুসিংহের বিশ্বকাপ দলে সযোগ পাবেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। হাতুরুসিংহ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে এখনই বিশ্বকাপ পরিকল্পনা থেকে বাদ দিতে নারাজ। তবে ভালো কিছুর আভাস দিতে পারেননি নির্বাচকরাও। কারণ বাদ দেয়ার পরিবর্তে তারা বিশ্রামের কথা বললেও আয়ারল্যান্ডের পরবর্তী সিরিজে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলে ফিরবেন কি না সে বিষয়ে কোন উত্তর দিতে পারেননি নির্বাচকরা। এখানেই ধোঁয়াশা। তবে কি সাকিব-তামিম-মুশফিকদের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাবেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ? তার আগে দেখে নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পরিবর্তে কোন দুজন ক্রিকেটারকে রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। একজন তাওহিদ হৃদয় আরেকজন ইয়াসির আলী রাব্বী। প্রথমজন মোটামোটি প্রথম সুযোগেই বাজিমাত করায় ধারণা করা হচ্ছে ২০২৩ বিশ্বকাপের দলে তিনি থাকবেন। কিন্তু ইয়াসির না মাহমুদউল্লাহ এই প্রশ্নের উত্তর এর জন্য আপনাকে আরও ৫ মাস অপেক্ষা করতে হবে। ইয়াসির রাব্বি গত দেড় বছর ধরেই জাতীয় দলের সাথে। কিন্তু এখনও আহামরী কোন পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। যেক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার বিচারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরই বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ার কথা। কিন্তু এভাবে বিশ্বাকপের ৬ মাস আগের সিরিজগেুলোতে দল থেকে যদি কেউ বাদ পরে যান তার পক্ষে বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়াটা কঠিন। চলুন দেখে নেই ২০২৩ সালে বাংলাদেশের সম্ভাব্য ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দল।
আইরিশদের বিপক্ষে রেকর্ড গড়া জয়ের দিনে প্রাপ্তি তৌহিদের হৃদয় জুড়ানো ব্যাটিং
বাংলাদেশের সম্ভাব্য বিশ্বকাপ দল ২০২৩, ভারত
১. তামিম ইকবাল খান ২. লিটন কুমার দাস ৩. নাজমুল হোসেন শান্ত ৪. সাকিব আল হাসান ৫. তাওহিদ হৃদয় ৬. মুশফিকুর রহিম ৭.আফিফ/ ইয়াসির/ মাহমুদউল্লাহ ৮. নাসুম/তাইজুল ৯. মেহেদী হাসান মিরাজ ১০. মোস্তাফিজুর রহমান ১১. তাসকিন আহমেদ ১২. এবাদত হোসেন ১৩. হাসান মাহমুদ
মোটামোটি এমনই হবার কথা দল। তবে ব্যাকআপ ওপেনার কোটায় হয়তো এনামুল হক বিজয় কিংবা জাকির হাসান দলে আসলেও আসতে পারে। নির্ভর করবে আগামী ৩/৪ মাসে কে কেমন ফর্মে থাকেন। তবে ১৫ সদস্যের দলে ১১ জন খেলোয়াড় মোটামোটি নিশ্চত। সেই এগারো জন হচ্ছেন-
১. তামিম ইকবাল খান ২. লিটন কুমার দাস ৩. নাজমুল হোসেন শান্ত ৪. সাকিব আল হাসান ৫. তাওহিদ হৃদয় ৬. মুশফিকুর রহিম ৭. মেহেদী হাসান মিরাজ ৮. মোস্তাফিজুর রহমান ৯. তাসকিন আহমেদ ১০. এবাদত হোসেন ১১. হাসান মাহমুদ
বাকি ৪ টা স্পটের জন্য রেসে থাকবেন-
১. আফিফ হোসেন ২. মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩. জাকির হোসেন ৪. ইয়াসির আলী ৫. নাসুম আহমেদ ৬. তাইজুল ইসলাম ৭. শরিফুল ইসলাম ৮. এনামুল হক বিজয় ৯. শামীম পাটোয়ারী ১০. নুরুল হাসান সোহান
মূলত এই ১১+১০ এই ২১ জন থেকেই বিশ্বকাপ দল গঠন করা হবে। যার মধ্যে ১১ জনের বিশ্বকাপ দলে থাকা নিশ্চিত। কিন্তু পরের ৪ টা স্পটের জন্য লড়াই করবেন আর ১০জন ক্রিকেটার। সে লড়াইয়ে সবার চোখ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দিকেই। সময়ই বলে দেবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সে লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারেন কিনা।