চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে মানবিক কারণে দূরপাল্লার বাসগুলো ছেড়ে দেওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. আব্দুল গণি।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দূরপাল্লার বাস আটকে দেওয়ার কারণে শনিবার (০৬ মে) দুপুর থেকে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের বঙ্গুবন্ধু সেতু পশ্চিম প্রান্ত থেকে সিরাজগঞ্জের নলকা মোড় পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছিল।
রাত পৌনে ৮টার দিকে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. আব্দুল গণি বলেন, নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই দূরপাল্লার বাসগুলো মহাসড়কে চলার চেষ্টা করলে সিরাজগঞ্জে আটকে দেওয়া হয়। অনেকে ফাঁকি দিয়ে গেলেও টোল প্লাজায় গিয়ে আটকে যান। এদের মধ্যে অনেকেই দুদিন হলো এখানে আটকে ছিলেন। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে মানবিক কারণে দূরপাল্লার বাসগুলো ছেড়ে দেওয়ার পর মহাসড়কে এখন যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
তবে আজকের পর আর কোনো দূরপাল্লার বাস কোনোভাবেই ছাড়া হবে না বলেও জানান ট্রাফিক পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গুগল নিউজ-এ ঢাকা পোস্টের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।
উল্লেখ্য, মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচলের চেষ্টা করলে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বাসগুলোকে আটকে দেওয়া হয়। বাসের টোল আদায়ও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে শনিবার দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে নলকা এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি ট্রাকের দীর্ঘ সারি ও যানজটের সৃষ্টি হয়।
তবে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম এলাকায় দাঁড়ানো অবস্থায় ছাড়া মহাসড়কের অন্য কোথাও দূরপাল্লার কোনো বাস দেখা যায়নি। কিন্তু সকাল থেকে উভয় পাশ থেকে আসা দূরপাল্লার বাসগুলো কড্ডা ও হাটিকুমরুল এলাকায় আটকে দিলে বাস শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেন। পরবর্তীতে তাদের ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। তবে মানবিক কারণে কিছু বাস ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই বাসগুলোর পাশাপাশি তখন সবযানই আটকে থাকায় মূলত যানজটের সৃষ্টি হয়।