একজন মন্ত্রী এবং দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যের নিজ সাংসদীয় এলাকায় শোকের মাস আগস্টে নিজ উদ্যোগে শোক দিবসের কর্মসূচী করা কিংবা দলীয় কোন কর্মসূচীতে অংশ না নেয়া কেবল দুঃখেরই না লজ্জারও। দলের প্রেসিডিয়াম বলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর কথা বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা করতেই পারেন কিন্তু যখন আপনি জানবেন শোকের মাস আগস্টে এলাকায় গিয়ে অবস্থান করেও শোক দিবসের কোন কর্মসূচী আয়োজন না করে ফিরেছেন তখন আপনি আশাহত হবেনই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকার কারণে দলের অনেক রথি-মহারথিদের ভয়ংকর পরিণতি হয়েছে। দলের সদস্য, প্রেসিডিয়াম সদস্য অথবা মন্ত্রী বাহাদুর যে-ই হোক না কেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা র তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যারাই নির্যাতন ও জুলুম চালিয়েছেন তারাই ধ্বংস হয়েছে। এলাকার সিংহভাগ সাধারণ মানুষ পরিবর্তন চায় এমনকি দলের নব্বই ভাগ নেতাকর্মীরা স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক আওয়ামী লীগ বিরোধী মন্ত্রী কে আর চায়না। শুধু বিকল্প নেই বলে অপেক্ষায় রয়েছে। এলাকার প্রশাসন, কিছু আত্বীয় ও মাদকাসক্ত পোলাপান দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অপরাজনীতি কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগের এতবড় পদধারী হয়েও নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে ১৫ আগস্ট উপলক্ষে জাতীয় শোক দিবসের মাসে কোন প্রোগ্রাম করেনি।এলাকায় গিয়ে ছাত্রলীগের, যুবলীগের ও আওয়ামী লীগের কোন দলীয় কর্মসূচি না করে দাওয়াত খেয়ে প্রশাসনের কিছু লোক নিয়ে ঘুরেফিরে ১০ বছর এমপি মন্ত্রী হয়ে যে সামান্য কাজ করতে পারেনি তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এলাকার সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আক্ষেপ, এতবড় জায়গায় থেকেও আত্বীয়দের ছাড়া এলাকার জন্য তেমন কিছুই করেছেন না। অথচ এলাকার চেহারা পাল্টাতে পারতেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা যারাই নিজ এলাকায় দলের জন্য কাজ করতে গিয়েছে তারাই স্থানীয় এমপি মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন পরিবারের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। আমার বেলায়ও এমনটি স্বাভাবিক, আমাকে এলাকার ওসি, মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদকাসক্ত পোলাপান দিয়ে চাপে রাখতে চেষ্টা করছে। আমি শুধু অনুরোধ করছি,অন্যায়ভাবে আমার পিছনে না লেগে এলাকার উন্নয়ন ও দলের জন্য কাজ করেন তাতেই দল ও আপনার মঙ্গল হবে।
আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের জননেত্রী শেখ হাসিনা র রাজপথের কর্মী তারা মৃত্যুকে কখনো পরোয়া করিনা। যেদিন থেকে রাজনীতি শুরু করেছি সেদিন থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গণ করতে প্রস্তুত রয়েছি।আর আমাদের জন্য মামলা,হামলা,জেল-জুলুম ও বহিষ্কার রাজনীতির অলঙ্কার। রাজনীতি কে রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা না করে যখন ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রশাসনের কাছে আশ্রয় ও আকুতি করেন অথবা অন্যায় ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ক্ষতি করে তাহলে বুঝতে হবে তার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। যদিও চুপচাপ থেকে জিয়া-এরশাদ-খালেদা সরকারের প্রায় ৩০ বছর চাকরি করে রাজনীতিতে এসে সারাজীবন সুবিধা নেওয়া মানুষেরা এসব বুঝবে না। রাজনীতিতে যেমন অতীত ও বর্তমান আছে তেমনি ভবিষ্যৎও আছে। ভবিষ্যৎ ভুলে শুধু অতীত ও বর্তমান নিয়ে চললে হবে না,আগামী র জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বিদ্রঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য এবারের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণা পত্রের দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়নি।