দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে একটি স্লোগান। ‘দামে কম মানে ভালো, কাকলী ফার্নিচার’- ভাইরাল এ স্লোগানে বদলে গেছে এস এম সোহেল রানার কাকলী ফার্নিচারের ভাগ্য। একইসঙ্গে বেড়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটির বেচা-বিক্রিও।
কাকলী ফার্নিচারের অবস্থান গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় শ্রীপুর সড়কে। দোকানটির মালিক শখ করে এক মিনিটের একটি ভিডিও চিত্র তার ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন গত ৯ এপ্রিল। এরপর তার অগোচরেই সেটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
সোহেল রানার তৈরি বিজ্ঞাপনটি এখন ভারত, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বাংলা ভাষাভাষী মানুষের ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপনী স্লোগান ‘দামে কম মানে ভালো, কাকলী ফার্নিচার’ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বিজ্ঞাপন তৈরির আগে দৈনিক প্রায় তিন লাখ টাকার ফার্নিচার বিক্রি হতো। গত ১০-১২ দিনে দৈনিক চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকার ফার্নিচার বিক্রি হচ্ছে।
বিজ্ঞাপনটি নিয়ে শুধু যে আলোচনা হচ্ছে, তা নয়। এটি নিয়ে হচ্ছে সমালোচনা ও ট্রল। বিশ্বব্যাপী তুমুল আলোচনায় আসায় প্রতিষ্ঠানটির পণ্যের চাহিদা বেড়েছে বেশ। কাকলী ফার্নিচারের নামকরণ সম্পর্কে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক এস এম সোহেল রানা।
তিনি জানান, দামে কম মানে ভালো- এ স্লোগানটা আজকে ১৭-১৮ বছর যাবৎ ব্যবহার করছি। এটার উদ্দেশ্যটা হচ্ছে আমার এলাকায় বিভিন্ন নামিদামি ব্রান্ড রয়েছে। ওই ব্রান্ডগুলোর মানও ভালো দামও ভালো। কিন্তু আমার মাল ওই ব্রান্ডগুলোর সাথে যায় না। অন্য ব্রান্ডগুলোর মাল তারা ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করতেছে ঠিক একই মালটাই আমার এখানে ত্রিশ হাজার টাকা দামে পাবেন।
রানা জানান, ৩৩ হাজার টাকা বিক্রি করলেও আমার ৫ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। আমার মালের গুণগত মান যথেষ্ট পরিমাণে ভালো, দামও কম। আমার স্লোগানটা এভাবে দিছি; দামে কম মানে ভালো। এটা হচ্ছে তুলনামূলক ব্রান্ডের প্রতিষ্ঠান যারা আছে তাদের সাথে তুলনা করে আমার প্রোডাক্টগুলো দামে কম, মানে ভালো।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমান উল্লাহ বলেন, একটি বিজ্ঞাপন যে এতটা আলোচনার জন্ম দিতে পারে, তা কখনোই জানা ছিল না। ভাইরাল বিজ্ঞাপনটির কারণে প্রতিদিন প্রচুর ক্রেতা প্রতিষ্ঠানে আসছেন। বিক্রি বেড়েছে অনেক। প্রতিটি শাখায় ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। এ ছাড়া দেশের কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কাকলী ফার্নিচারের সঙ্গে পণ্য বিক্রির চুক্তি করার প্রস্তাব পাঠাচ্ছে। বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।