সৃষ্টিশীল কবি ও লেখক ফিরোজ আহমেদ স্বপনের নতুন কবিতা ‘হাজারো স্মৃতির প্রান্তরে’। কবিতাটি কবির এক অনবদ্য সৃষ্টি। কবিতায় কবি হাজারোর স্মৃতির প্রান্তরে প্রিয়তমার স্মৃতি রোমন্থন করেছেন। বিডিনিউজ ট্র্যাকারের পাঠকদের জন্য কবিতাটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
হাজারো স্মৃতির প্রান্তরে
ফিরোজ আহমেদ স্বপন
আমার নিঃসঙ্গ কবিতাগুলো শুধু তোমাকে খোঁজে ,
আমার নিঃশব্দ ব্যথাগুলো হন্যে হয়ে খুঁজে তোমাকে ,
আমার নিরঙ্কুশ ভালোবাসার বিন্দু বিন্দু কণা ,
মহাসিন্ধু সৃষ্টি করে আনন্দ তরঙ্গে ভাসে ।
তোমার জন্য কবিতা গড়েছি ,
স্বপ্ন রঙের বর্ণমালা দিয়ে ,
শব্দে শব্দে কবিতা সাজিয়েছি ,
জীবনের স্বপ্ন নিয়ে।
কবিতা অনেক লিখেছি,
হয়তো আরো লেখা হবে ,
আমার শেষের কবিতার শেষ দাঁড়ি হবে তুমি।
কিন্তু পাপড়িতে ভালোবাসার গন্ধ মিশিয়ে ,
তোমাকে যে গোলাপ দিয়েছিলাম,
তা নিয়ে কোন কবিতা লেখা হয় নি,
তুমি মনে মনে আমার কাছ থেকে একটি গোলাপ আশা করেছিলে
কাকতালীয়ভাবে আমি গোলাপ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম
তুমি বড়ই আশ্চর্য হয়েছিলে,
তোমার চাহনি তোমার আগ্রহ তোমার আনন্দ আমাকে বিহ্বল করেছিলো।
জীবনের সবচেয়ে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি বিষয় নিয়ে,
লিখতে গিয়ে আমার কলম আর কথা বলে না,
তাই আর তা নিয়ে কবিতা লিখা গেলো না।
তার কারন কি জানো?
কারণ হলো পৃথিবীর অভিধানে আমি তেমন কোনো শব্দ খুঁজে পাইনি,
তা দিয়ে মুহূর্তটির বিবরণ লেখা যাবে ,
তন্ন তন্ন করে খুঁজেও এমন কোন কাগজ কলম পেলাম না,
যে কালিতে যে কাগজে এমন লেখা শোভা পাবে।
ওদিন তুমি পাপড়ি গুলি থেকে মাধুরী নিয়ে ,
সূক্ষ রঙতুলিতে হৃদয়ে যে আলপনা এঁকেছিলে ,
তোমার স্নেহ ভরা চাহনিতে আবেগের যে ঝড় তুলেছিলে,
তা আমার শত কবিতার ছন্দকে হার মানিয়েছিলো।
শত ফুল দেয়া নেয়া হয় ,
শত কথা আদান-প্রদান হয় ,
আকাশ সম আবেগ দিয়ে ভাব বিনিময় হয় ,
কিন্তু ওদিনের ঐ মুহূর্তটি,
জীবনের শত ঘটনাকে ছাড়িয়ে,
ভিন্নরূপে দাঁড়িয়ে আছে আমার কাছে,
হাজারো স্মৃতির প্রান্তরে,
ঐ স্মৃতিতে ভিন্নতা আছে।