দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে হাস্যকর ও প্রহসনমূলক আন্তর্জাতিক খবর। পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি। বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী দেশের রাষ্ট্রনায়কের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা? এরপরও পুতিন পোলাইট থাকবে? ভাইরে এইটা ইরাক-আফগানিস্তান কিংবা পাকিস্তান না। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ও শক্তিশালী পারমানবিক শক্তির দেশ। তোমরা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবা আর সে ৬০০০ পারমানবিক অস্ত্র নিয়ে আঙুল চুষবে? পশ্চিমাদের ভুলে গেলে চলবে না একনায়কতন্ত্রের মেইন থিমই হচ্ছে – যে বিশ্ব আমার না সে বিশ্ব আর কারও হবে না। পশ্চিমারা হয়তো মনে প্রাণে চাইছে রাশিয়া অফিশিয়ালি নিউক্লিয়ার ওয়েপন ব্যবহার করুক। এরপর জাতিসংঘ থেকে রাশিয়াকে একঘরে করে দেবার একটা মাস্টার প্ল্যান হয়তো আছে আমেরিকিউক্রেনের। নাহলে যুদ্ধের মাঝে কেউ কারও বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে? গত এক বছরে ২ দেশের প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ মারা গেছে। এখনও যুদ্ধ চলছে সেকেন্ড গিয়ারেই। এর মধ্যে গ্রেফতারি পরোয়াণা দিয়ে পুতিনকে মানসিকভাবে কাবু করার প্ল্যান কি বুমেরাং হয়ে ফিরবে মোরিকিউক্রেনদের দিকে? তবে পরিস্থিতি কেবল জটিলই হচ্ছে। যা বুঝা গেলো রাশিয়ার সাথে নর্থ কোরিয়া আর ইরান ছাড়া তেমন কাউকে পাওয়া যাবে না। চীন কেন যেন নিরপেক্ষ থাকতে চাচ্ছে। সেক্ষেত্রে রাশিয়ার একার পক্ষে আমেরিকা + ন্যাটো+ ইউক্রেনের বিপক্ষে লংটাইম যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সহজ হবে না। এর ফলে মানসিক চাপে থাকা পুতিন যেকোন সময় যুদ্ধটাকে সেকেন্ড গিয়ার থেকে ফোর্থ গিয়ারে নিয়ে যেতে পারেন। আর তেমন কিছু যদি ঘটেই যায় তাহলে বেধে যেতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। যার আল্টিমেট রেজাল্ট হচ্ছে পৃথিবীর দুই- তৃতীয়াংশই ধংস হয়ে যাবে। রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধ তাই পৃথিবীর সকল প্রান্তের মানুষদেরকে চিন্তায় রেখেছে।
সম্পাদনাঃ ডেস্ক