শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাসের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক চর্চা ও সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির পরিবেশ সৃষ্টিতে অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন দাবি করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
ছাত্র অধিকার পরিষদের এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। ছাত্র অধিকার পরিষদ ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকের দল গণ অধিকার পরিষদের ছাত্রসংগঠন। নুরুল ডাকসুর সবশেষ ভিপি ছিলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘ ২৮ বছর পর ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব দল ও মতের কিছুটা সহাবস্থান নিশ্চিত হয়েছিল। কিন্তু অংশগ্রহণমূলক ও গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার সেই ধারাকে নস্যাৎ করতে পেশিশক্তি-কালো টাকা নির্ভর দখলদার বাহিনী ধারাবাহিকভাবে শিক্ষাঙ্গনকে ভয়ের অভয়ারণ্যে পরিণত করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা জানিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, আগ্নেয়াস্ত্রের ঝনঝনানিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত। শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে গুলি চললেও প্রশাসনের ভূমিকা পুরোপুরি নির্বিকার। দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানায় ছাত্র অধিকার পরিষদ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ছাত্রসংগঠনগুলো হবে শিক্ষার্থীবান্ধব। কিন্তু দলীয় লেজুড়বৃত্তিসহ ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির কারণে দলীয় রাজনীতির ক্রীড়নক হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। পবিত্র শিক্ষাঙ্গন হয়ে উঠেছে ভয়ের অভয়ারণ্য। এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস, গণতান্ত্রিক চর্চা ও সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির পরিবেশ সৃষ্টিতে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানায় ছাত্র অধিকার পরিষদ। একই সঙ্গে তারা অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানায়।
কয়েক দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উত্তপ্ত। ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট চত্বরের ভেতরে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ছাত্রলীগ। এতে ছাত্রদলের অন্তত ৪৭ নেতা-কর্মী আহত হন। এর আগে গত মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের মিছিলে বেপরোয়া হামলা চালায় ছাত্রলীগ। তিন দিনের সংঘাতে দুই সংগঠনের অন্তত ১৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।