অভিনব জালিয়াতি করে দুর্নীতি স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে জিপিএফ ফাণ্ডের টাকা উত্তোলন স্বাক্ষর জাল করে নারায়ণগঞ্জের টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের একজন টেকনিক্যাল এসিসট্যান্টের টাকা অগ্রীম লোনের নামে উঠিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও জিপিএফ ফাণ্ড (সাধারণ ভবিষ্য তহবিল) দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের যোগসাজসে এমন কাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করছেন ভুক্তভোগী টেকনিক্যাল এসিসট্যান্ট।
বিষয়টির সুরাহার জন্য বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ভুক্তভোগী টেকনিক্যাল এসিসট্যান্ট শারমিন নাহার। বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর দেওয়া অভিযোগপত্রে শারমিন নাহার উল্লেখ করেন, ব্যক্তিগত কাজে টাকার প্রয়োজন হওয়ায় জিপিএফ হিসাবের স্থিতি দেখার জন্য অনলাইন থেকে জিপিএফ হিসাব স্লিপ বের করলে সেখানে দেখা যায় দুই লাখ বিরাশি হাজার টাকা অগ্রীম লোন উত্তোলন করা হয়েছে। অথচ ভুক্তভোগী এই টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট টাকার জন্য কোন আবেদনই করেননি। অথচ তার একাউন্ট থেকে দুই লাখ বিরাশি হাজার টাকা উত্তোলন দেখাচ্ছে।
পরবর্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা একাউন্টস এন্ড ফিনান্স অফিসের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রতিষ্ঠান প্রধান ছামিদুল হকের স্বাক্ষরিত জিপিএফ মুঞ্জরি আদেশের মাধ্যমে টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের উচ্চমান সহকারি কাম হিসাবরক্ষক মো. হাসান ইমাম হিসাব রক্ষণ অফিসের অডিটর মোঃ মাসুমের নিকট থেকে চেক উত্তোলন করেছেন। কিন্তু ভুক্তভোগী শারমিন নাহার এর কিছুই জানেন না। বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদনে বিষয়টির সুরাহা প্রত্যাশা করেন শারমিন নাহার। জানা যায়, জিপিএফ ফাণ্ডের টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানের একটি লিখিত পত্র দিতে হয়। এছাড়া স্বাক্ষর মিলিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া টাকা উত্তোলনকারী উচ্চমান সহকারি কাম হিসাবরক্ষক মো. হাসান ইমাম প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী কর্মচারী নন। এরপরেও তার মাধ্যমেই হিসাবরক্ষণের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করানো হয়।
প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, হাসান ইমামের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের প্রধান মুহাম্মদ ছামিদুল হকের দহরম মহরম সম্পর্ক রয়েছে। ছামিদুল হকের বিভিন্ন ব্যক্তিগত কাজও সম্পাদন করেন হাসান ইমাম। এর পুরস্কার হিসেবেই স্থায়ী কর্মচারী না হয়েও হিসাবরক্ষকের মত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কাজ করেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠান প্রধানের লিখিত চিঠিও প্রয়োজন হয় জিপিএফ ফাণ্ডের টাকা উত্তোলনে। জানা যায়, প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মুহাম্মদ ছামিদুল হক নারায়ণগঞ্জ টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের সুপারিনটেনডেন্টের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এমনকি ২০১৯ সালে পিরোজপুরে এবং সম্প্রতি বদলি করা হলেও তিনি সেই আদেশদ্বয়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জেই দায়িত্ব পালন করছেন। জড়িয়ে পড়েছেন বিভিন্ন অনিয়মে। অধিদপ্তরের একজন পরিচালকের সাথে সম্পর্ক থাকায় ছামিদুল সহকর্মীদের উপর প্রভাব খাটান বলে অভিযোগ আছে।এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও প্রতিষ্ঠান প্রধান হওয়ায় ভয়ে কেউ উচ্চবাচ্চ করেন না।