বহুল আলোচিত মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়েছে। এ দিকে মালয়েশিয়ায় ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ থেকে নতুন ডিমান্ড অনুমোদন বন্ধের কথা বলা হলেও বাস্তবে বাংলাদেশ হাইকমিশনের অনলাইন পোর্টালে ১৮ মার্চের পর অনুমোদিত ডিমান্ড জমা হওয়ার সংখ্যা, বরং দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক শ্রমিক নিয়োগের ডিমান্ড হাই কমিশনের অনলাইন পোর্টালে জমা হচ্ছে।
২৮ এপ্রিল শুক্রবার মাই মিডিয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার। তিনি জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ ৮০ হাজার নতুন শ্রমিক নিয়োগের ডিমান্ড দূতাবাসের পোর্টালে জমা হয়েছে এবং প্রতিদিন নতুন ডিমান্ড জমার ধারা অব্যাহত আছে। এমনকি ২৮ এপ্রিল প্রায় ৩ হাজার নতুন শ্রমিকের ডিমান্ড হাই কমিশনের পোর্টালে জমা পড়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার শ্রমিক নিয়োগের ডিমান্ড সত্যায়িত করেছে হাই কমিশন এবং এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার নতুন কর্মী মালয়েশিয়া এসে পৌঁছেছেন।
হাইকমিশনে ডিমান্ড সত্যায়ন প্রক্রিয়া যথাসম্ভব দ্রুততার সঙ্গে চলমান আছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আশাকরি ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ মালয়েশিয়ায় প্রায় পাঁচ লাখ নতুন বাংলাদেশী কর্মী কর্মসংস্থানের অনুমোদন পাবেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার পর, গত বছরের ৮ আগস্ট থেকে কর্মী যাওয়া শুরু হয় মালয়েশিয়ায়। সেই থেকে নিয়মিত কর্মী যাচ্ছে দেশটিতে। শুরুতে ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী পাঠানোর অনুমোদন পায়। এরপর আরও দুই দফায় ৭৫ এজেন্সিকে অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়া সরকার। সব মিলিয়ে এখন ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী পাঠাচ্ছে দেশটিতে।