তৃতীয় সারির দল নিয়ে এসেও পাকিস্তানকে তাদের ঘরের মাটিতে ৫ ম্যাচের টি২০ সিরিজ জিততে দেয়নি নিউজিল্যান্ড। ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে দুই দুইবার এগিয়ে থেকেও বাবর আজমের দল জিততে পারেনি। সিরিজটি ২-২ এ ড্র হয়। আইপিএলের কারণে মূলত তৃতীয় সারির দলই পাঠিয়েছিলো নিউজিল্যান্ড। ইনজুরি ও আইপিএলের কারণে কেন উইলিয়ামসন দলে ছিলেন না, দলে ছিলেন না ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, ডেভন কনওয়ের মত এক ঝাঁক তারকা ক্রিকেটার। তাদের অনুপস্থিতি দেখে প্রথম ম্যাচে জয়ের পরই নিউজিল্যান্ডের সমালোচনা করেছিলো পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা। কিন্তু সপ্তাহ না যেতেই সেই তৃতীয় সারির দলের কাছেই ২-২ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করে স্বাগতিক পাকিস্তান।
নিজেদের ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের এই টিমের বিপক্ষে পাকিস্তানের এগিয়ে থেকেও এই সিরিজ ড্র কেই বলে দেয় শুধু ওয়ার্ল্ড ক্লাস প্লেয়ার হলেই সব সময় হয় না, প্রোপ্রার ইনটেন্ট আর গেম প্ল্যান না থাকলে কিছুই হবে না।
নিউজিল্যান্ডের এই টিম টা কে সি টিম বললেও অনেক বেশি হয়ে যাবে। কারণ টম লাথাম, উইল ইয়ং, চ্যাড ব্রাউস, রাচিন্দ রাবিন্দ্র এরা কেউ ই টি টুয়েন্টি ফরম্যাটের প্লেয়ার না। এরা টেস্ট – ওডিআই দলের বিবেচনায় থাকে। জিমি নিশাম – চ্যাপম্যান রা তো মূল দলের আশেপাশেই বেশিরভাগ সময়ই থাকে না। তাও এমন একটা দলের বিপক্ষে পাকিস্তানের পূর্ণ শক্তির দল নিয়েও এমন অসহায় আত্নসমর্পণ!
প্রথমত রিজওয়ান যতই রান করুক তার ইনটেন্ট গত ম্যাচের টি টুয়েন্টি সুলভ অবশ্যই ছিল না। ইনিংসের অর্ধেকের বেশি বল খেলেলে অনান্য প্লেয়ার রা মিনিমাম ১২০-১২৫ করে সেখানে সে সেঞ্চুরি টুকুও করতে পারেনি। বাবরের ঐ এক ম্যাচের শত রান বাদে বাকি ম্যাচ গুলোতে তার ইনটেন্ট ও জঘন্য ছিল। পাকিস্তানের যেমন সাধারণত ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি পিচ থাকে, অন্তত এই বোলিং লাইন আপের বিরুদ্ধে তাদের দুজন থেকে সবারই অনেক আশা ছিল। মোহম্মদ হ্যারিস আর সায়েম আয়ূব কে পাকিস্তানের ভবিষ্যত সুপারস্টার বলা যেতেই পারে। তাদের সেই পটেনশিয়ালটি আছে , কিন্তু দুজন কেই আরও ধারাবাহিক হতে হবে। এই সিরিজে ইফতিকার মোটামুটি ধারাবাহিক ই ছিল, টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ পর থেকে সে ধারাবাহিক ই। আর বোলিং লাইন আপের কথা বললে তাদের বোলার রা যখন ভালো করে তখন সবাই একসাথে ভালো করে, আবার যখন করে না তো কেউই ভালো করে না।
তাদের বিশ্বসেরা বোলার থাকলেও ঠিকমতো এক্সিকিউট করতে পারতেছে না। শাহীন – রউফ কে ডেথ ওভার বোলিং নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। তাদের এই ডেথ বোলিংয়ের জন্য তারা অনেক ম্যাচ হেরেছে। এগুলা ফিক্সড না করতে পারলে ঘরের মাঠে ও তারা বিপক্ষ দলের দ্বিতীয় – তৃতীয় সারির দলের বিপক্ষে ও এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্স অব্যাহত রাখবে। উল্লেখ্য ১৫ দিন আগেও আফগানিস্তানের সাথে টি২০ সিরিজ হেরেছিলো পাকিস্তান। সিরিজ নির্ধারণী ৫ম টি২০ তে ১৯৩ রান করেও বাজে বোলিং আর ফিল্ডিংয়ের কারনে হেরে যায় পাকিস্তান।