তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিপ্লব ঘটাতে যোগ্যদের মূল্যায়ন জরুরী

জাহিদুল ইসলাম

আয়মান সাদেককে ঢাক ঢোল পিটিয়ে বিশাল আয়োজন করে সুপারস্টার বানানো হলো। অথচ আয়মানের চেয়ে অনেক বেশি কোয়ালিফাইড ছেলেদের কেউ খোঁজও নেন না আর নিবেনও না। কারণ এই দেশে সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা কাউকে লাইমলাইটে আসার সুযোগ দেয়া হয় না। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে যে সুলাইমান শুখন আর আয়মনই দেশের সবচেয়ে বড় আইটি কিং! বাস্তবে আইটি বিষয়ে তাদের জ্ঞান সীমিত। হ্যাঁ তারা অনেক সুন্দর করে কথা বলতে পারে সে কথায় চিড়ে ভিজলেও তথ্য প্রযক্তিতে কোন বিপ্লব হবে না।

পাশের দেশ ভারতে যখন ঘরে বসে ট্রেনের লোকেশন জানা যায় আমাদের দেশে সে সুযোগ কই! চাপাবাজি করে স্টেজ মাতানো গেলেও আসল কাজ কিছুই হয় না। আমাদেরও অনেক আইটি এক্সপার্ট আছে যাদের কাছে এরকম অ্যাপস বানানো কোন ব্যাপারই না কিন্তু তাদেরকে কখনই লাইমলাইটে আসার সুযোগ দেয়া হয় না। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে কোন ভাড়া করা রোবট প্রদর্শনে কোন গৌরব নাই। সময় এখন প্রকৃত জিনিয়াসদের সামনে নিয়ে আসা।

যা হলে দশের কাজ হবে দেশের কাজ হবে। সম্প্রতি দেখলাম সাদিক ও অাফ্রিদি নামের দুজন তরুণকে বেস্ট কন্টেন্ট ক্রিয়েটর অ্যাওয়ারর্ড দেয়া হলো। আমি জানি না তারা কি এমন কন্টেন্ট ক্রিয়েট করেছেন যার জন্য এরকম ধুমধাম করে অ্যাওয়ার্ড দেয়া হলো! দেশকে তথ্য – প্রযুক্তিতে এগিয়ে নিতে হলে রিয়াল হিরোদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদেরকেই পুরস্কৃত করতে হবে। যদিও ভালো কাজ করতে গেলে থলের বিড়ালও বের হয়ে যেতে পারে না। কোন ট্রেন কোথায় এই অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট হয়ত রেল কর্তৃপক্ষ নিজেই চান না! আশা করব খুব দ্রুতই রেলের লোকেশন ট্র্যাকিং অ্যাপ চালু হবে। আয়মান, সুলেমানদেরই পারতে হবে – এমন না। যারা পারে তাদেরকে লাইমলাইটে আনা হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Created with Visual Composer