আত্মহত্যার মিছিল যেন থামছেই না। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের মেহেদী নামের একজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার কোন কারণ না জানা গেলেও নিহতের হলের একজন শিক্ষার্থী বিডিনিউজ ট্র্যাকারকে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের এই ছেলেটা আত্মহত্যা করেছে। নাম তার মেহেদী। ফাইন্যান্স বিভাগের পড়তো। একই হল হওয়ায় বহুবার দেখেছি ছেলেটাকে। দুয়েকবার হয়ত কথাও হয়েছে, কিন্তু এই মুহূর্তে স্মরণে আসছে না। ক্যান্টিনে, হলের সামনে, রিডিং রুমে এখনো যেন তারে হাসতে দেখতেছি, কথা বলতে দেখতেছি বন্ধুদের সাথে। আত্মহত্যা করার মতো ছেলে তারে কোনদিন মনে হয় নাই। খুবই আশাবাদী প্রাণবন্ত ছেলেই মনে হইতো। অথচ এই ছেলেই বেছে নিলো আত্মহণনের পথ।
আত্মহত্যার সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু হলের ঐ শিক্ষার্থী জানান এখনো মৃত্যুর কারণ নিয়ে কাউকে কিছু লিখতে দেখি নাই। ধারণা করি, আমাদের খুনি শিক্ষাব্যবস্থা, আমাদের খুনি চাকরির বাজার, আমাদের সরকারি চাকরির মূলা, আমাদের মধ্যবিত্ত আবেগ, আমাদের পরিবার-সমাজের উপর্যুপুরি চাপ, আমাদের প্রেমিকাদের পিতাদের অশ্লীল মূল্যায়নপদ্ধতি এই খুনের ইন্ধনদাতা।
হায় দুনিয়া! আত্মহত্যা করি করি করেও কত মানুষ বেঁচে থাকে, অথচ বাঁচার প্রবল আশাবাদ নিয়েও কত মানুষ মরে যায়! হায়!
উল্লেখ্য আত্মহত্যা করা মেহেদী বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সহকারী পরিচালক ছিলেন। বাংলাদেশের সরকারি চাকরির বাজার অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীর যেকোন চাকরিই সম্মানের এবং মর্যাদার। তারপরও তিনি কেন আত্মহত্যা করলেন কেউই মেলাতে পারছেন না।