ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। ব্যক্তিগত গাড়ি, খোলা ট্রাক, বাস যেভাবে পারছে বাড়ি ফিরছে মানুষ। দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে টাঙ্গাইলের মহাসড়কে বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের দাবি, লোকাল বাস ছাড়া মহাসড়কে কোন দূরপাল্লাার বাস চলাচল করছে না। এ বিষয়ে সর্তক অবস্থানে রয়েছে তারা।
সরেজমিনে শনিবার (৮ মে) সকাল থেকে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ দেখা গেছে। এই অংশে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। তবে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কের ঘারিন্দা, কান্দিলা, রাবনা বাইপাস, বিক্রমহাটি, রসুলপুর ও এলেঙ্গা অংশে দূরপাল্লার বাসসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া মানুষজন বাড়ি পৌঁছাতে মাছের ট্রাকে করেও ঝুঁকি নিয়ে যাচ্ছেন।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী বেশ কিছু দূরপাল্লার বাস বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানা পুলিশ আটকিয়ে রাখলেও সেগুলো সকালে ছেড়ে দিয়েছে। এতে ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়েছে শতাধিক যাত্রীবাহী বাস।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৭ মে) থেকে শনিবার (৮ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে প্রায় ২৫ হাজার পরিবহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ হাজার ব্যক্তিগত পরিবহন রয়েছে। এ ছাড়া যাত্রীবাহী রয়েছে দেড়শ। বাকি ছোট-বড় ট্রাক সেতু পারপার হয়েছে। এতে সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
দিনাজপুরগামী ট্রাকচালক মোশারফ হোসেন মিয়া বলেন, সকাল থেকেই মহাসড়কে পরিবহনের সংখ্যা বাড়ছে। এতে ধীরগতিতে চলতে হচ্ছে। টাঙ্গাইলের আশিকপুর বাইপাস থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে আসতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লেগেছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ কমে গেছে। এ ছাড়া নির্দেশ অমান্য করায় দূরপাল্লার বাসের চালকদের মামলা দেওয়া হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, কিছু যাত্রীবাহী বাস আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জরিমানা করে ছাড়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, জরিমানা ছাড়াই বাসগুলো ছাড়া হয়েছে। তবে সেগুলোতে কোন যাত্রী ছিল না।