খাদিজা আহমেদের নতুন কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। কবিতর নাম অভিমান। বিডিনিউজ ট্র্যাকারের পাঠকদের জন্য কবিতাটি
অভিমান
খাদিজা আহমেদ
দিগদিগন্তের পূন্যের সমাহারে
কখনো কি অনুভবে,
ললাট ছুঁয়েছো সলজ্জ চুম্বনে।
মাঝরাত্রিরের প্রেমালিঙ্গনে,
শিহরণ জেগেছে কি মূর্ছিত লোচনে,
প্রতি সিক্ত যূথীর আখেরি কম্পনে!
কখনো কি শব্দাক্ষরে ভেঙ্গেছো
নেত্র পলককে নিষ্পাপ লাজুকতা?
বিরহমাখা খাতিরে গল্পের চিত্তযোগে,
খতিয়ে দেখো তো তুলেছো কিনা স্পর্শের কোমলতার?
প্রজাপতির উদারতায় নীল পরী সম্বোধনে
কখনো কি বলেছো-
ঠোঁটের নিচের নেশাক্ত কালো তিলটার প্রান ছোঁয়া গল্প কথা।
অফুরন্ত ব্যকুলতার হিল্লোলে,
শরতের শিশিরকে ভুলে গিয়ে ছুড়েছো কি একরাশ বিমূর্ত মুগ্ধতা।
খালি পায়ে উলঙ্গ শহরের অলিগলি মাড়িয়ে
বিলিয়েছো কি,
হৃদচন্দিমার আবেশে নানারঙ্গের চিরকুটের অমলিন উষ্ণতা।
টকটকে জলন্ত নীল পদ্মের মোড়ক পেচিয়ে,
এনেছো কি একঝাঁক স্বপ্ন কথা।
খোঁজেছো কি নয়ারন্যে কবিতার আশ্রয়স্থল?
যাহা দিবারাত্রি যোগসাধনায় তোমাতেই মরিয়া হয়ে থাকে।
লকলকে লতিকার গহীন কর্ণ কুহরে
বিলিয়েছো কি,
পরিস্ফুট সুভাসের প্রেমান্ধ খেয়াল!
ঘনান্ধারে জলনুপুরে অবলী নেমেছি,
একগাল হেসে করতল ছুঁয়ে
পবিত্রতার সুদূর ওঠাবে বলে।
নির্দ্বিধায় বিলিয়ে দিয়েছি চৈত্রীরের প্রতীক্ষা।
প্রেম সুখের প্রাপ্যতায় তীর্থ হয়েছে চোখ জোড়া নির্জন প্রার্থনায়!
কত যুগই না কেটে গেলো নিঃশব্দে…!
হলো কত স্পন্দনের অপমৃত্যু!
নির্ভরতার সখ্যতায়
আলাপের গুঞ্জরনে,
নিশ্চুপে বয়ে গেলাম শব্দের চরাচরে!
প্রতি ক্ষণে ক্ষণে স্বপ্ন বুনে
প্রজ্জলিত কথনে,
মুছে দিবে এ নিষিদ্ধ অভিশাপ
তুলে নিও নয়ন বদনে!
আর হ্যাঁ…
অভিযোগ আনিনি কোনো,
এতো সাময়িক অভিমান
প্রেমিকার চোখে প্রেমিকই ঈশ্বর সে কথা কি জানো?