দেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা নাফিজ সালাম উদয়কে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২ এর একটি দল।
তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ জঙ্গি নেতা এবং দাওয়াতি ও অর্থ বিভাগের সক্রিয় সদস্য। নিজের পরিচয় গোপন রেখে কামরাঙ্গীরচরে ভাঙ্গারীর ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে বিগত ৮ বছর ধরে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে তিনি জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখছিলেন।
র্যাব সূত্র জানায়, নাফিস সালাম উদয়ের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় মোট তিনটি জঙ্গি মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও পুলিশ ওপর হামলার অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। ডিএমপি ঢাকার আদাবর থানায় তার নামে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
নাফিজ সালাম উদয়কে গ্রেপ্তারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে র্যাব-২ এর অভিযানিক দল চেষ্টা করছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর জঙ্গি প্রতিরোধ সেলের একটি বিশেষ দল গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-২ এর সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক জানান, নাফিজ সালাম উদয় এইচএসসি পাস করে ২০০১ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যান। সেখানে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজির ওপর গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ২০০৮ সালে দেশে ফিরে আসেন। বাংলাদেশে আসার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। তিনি সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ইস্যুকৃত গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি।
তিনি আরও জানান, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্র জঙ্গিবাদী বই প্রচার ও নওযুবক তথা তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গিবাদে উৎসাহিত করে আসছিল নাফিজ। তিনি হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশ শাখার আমিরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে এবং অফলাইন ও অনলাইনের মাধ্যমে হিযবুত তাহরীর গ্রুপ লিডারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন মসজিদে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী লিফলেট বিতরণ ও দাওয়াতি কাজ করত।
এএসপি মো. ফজলুল হক জানান, নাফিজের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাইবাছাই করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত আছে।