আত্মহত্যার মিছিল যেন কোনভাবেই থামছে না উল্টো বেড়েই চলেছে। করোনাকালে আত্মহত্যার ঘটনা আশংকাজনক হারে বেড়ে গিয়েছিলো। মাঝে কিছুদিন সংখ্যাটা কমে আসলেও ফের শুরু হয়েছে আত্মহত্যার মিছিল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর নিজ বাড়ি থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা মাওহা ইউনিয়নের বিশমপুর গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে তার পরিবার ও পুলিশ। এসময় তার লেখা একটি চিরকুটও পাওয়া গেছে। নিহতের নাম সাদিয়া তাবাসসুম। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের বিশমপুর গ্রামের মাহবুবুর রশিদের মেয়ে তাবাসসুম।
উদ্ধার হওয়া চিরকুটে সাদিয়া লেখেন, ‘চোরাবালির মতো ডিপ্রেশন, বেড়েই যাচ্ছে, মুক্তির পথ নেই, গ্রাস করে নিচ্ছে জীবন, মেনে নিতে পারছি না।’ এ ঘটনায় পুলিশ জানায়, ঈদের ছুটি কাটাতে বাড়িতে এসেছিলেন সাদিয়া। আগামী সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরারও কথা ছিল তার। মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর বাবা একটি জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য যান। এ সময় তার মাও বাড়িতে ছিলেন না। এই সময় সাদিয়া নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে আঁড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এদিকে দীর্ঘ সময়েও কোনো খোঁজ না পেয়ে তার চাচাতো বোন দরজায় ডাকাডাকি করেন। কিন্তু এতেও সাড়া মেলেনি। পরে দরজা ভেঙে সাদিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সোহেল কবির বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। খুব হতাশাজনক ও দুঃখজনক। সে আত্মহত্যা করেছে বলে জেনেছি। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছে সেটি নিশ্চিত নই। গৌরীপুর থানার উপপরিদর্শক মাইনুল রেজা জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এই ঘটনার দু’দিন আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীব শিক্ষর্থী অংকন বিশ্বাস প্রেমিকের বাড়িতে বিষপানে আত্মহত্যা চেষ্টা চালানোর ১৫ দিন পর মারা যান।