এন্টি সুইসাইডাল স্কোয়াডের আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিশেষ টকশো অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত দশ টায় অনুষ্ঠিত হয় টকশো টি। দিন দিন বেড়েই চলেছে আত্মহত্যার ঘটনা। গত কয়েক সপ্তাহে ঢাকা,চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। গত বছরের মে মাসে যাত্রা শুরু করে এন্টি সুইসাইডাল স্কোয়াড নামের সংগঠন। ইতোমধ্যে তারা প্রায় ১৭০ এর অধিক সুইসাইড প্রবণ মানুষকে আত্মহত্যা থেকে ফিরিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুপরিচিত পেয়েছে। ভিক্টিম উদ্ধার,পরামর্শ ও কাউন্সিলিংসহ মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও কাজ করছেন এক ঝাক তরুণ। তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশা শ্রেণির মানুষ।গত ২৯ মে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এই স্কোয়াডের আয়োজনে বিশেষ লাইভ টকশো “আত্মহত্যার কারণ ও প্রতিরোধে করণীয়” শিরোনামে বিশেষ অনুষ্ঠান। তাসমিনা জেবিনের সঞ্চালিত এই আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও অবসর প্রাপ্ত মেজর জেনারেল আমসাআ আমিন,বিশিষ্ট সমাজ গবেষক ও “বঙ্গবন্ধু থেকে বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা”বইয়ের লেখক ব্যারিস্টার শেখ রিয়াজ মাহমুদ এবং লেখক ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জ্বনাব শরিফ শেখ। বিশিষ্ট গুনীজন এই সামাজিক ব্যধি প্রতিরোধে তাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
আমসাআ আমিন তার আলোচনায় নৈতিক শিক্ষার প্রতি জোরারোপ করেন।অন্যদিকে লেখক ব্যারিস্টার রিয়াজ মাহমুদ বেকার তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানানোর পাশাপাশি শিশু কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে প্রযুক্তির পরিবর্তে পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণের পরামর্শ দেন।কবি শরিফ শেখ পারিবারিক শিক্ষা ও প্রযুক্তি পণ্য ব্যবহারে শিশু কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করার পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধন মজবুতে গুরুত্ব দেন।তারা সকলেই এই ব্যতিক্রমী ও সময় উপযোগী প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা কাবিল সাদিসহ স্কোয়াডের সদস্যদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাদের এই মানবিক কাজের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, আত্মহত্যার পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা আচল ফাউন্ডেশনের মতে,গত ২০২২ সালে ৫৩২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।