করোনার ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়ান্ট ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। গত ২৪ ঘন্টায় রেকর্ড মৃত্যু ১০৮ জনের। পুরো পৃথিবীতে করোনা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে থাকলেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি অবনতির দিকেই যাচ্ছে। করোনাকালের গত ১৮ মাসে এর চেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞরা ভারতীয় ভ্যারিয়ান্টকেই দায়ী করছেন। যার প্রভাবে যশোর – খুলনায় মৃত্যুর হার বেড়েছে বহুগুণ।
করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরও ১৭ জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২৫ জুন) সকাল ৯টা থেকে শনিবার (২৬ জুন) সকাল ৯টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে তারা মারা যান।
এদের মধ্যে আটজন করোনায় এবং নয়জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এই ১৭ জনের মধ্যে নয়জনেরই বাড়ি রাজশাহী জেলায়। এ ছাড়া চারজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের, দুজন নওগাঁর এবং দুজন নাটোরের বাসিন্দা। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা।
এর আগে গত ২৪ জুন ১৮ জন প্রাণ হারান করোনা ইউনিটে। এটিই ৪৮ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে গত ৪ ও ২৩ জুন এই ইউনিটে ১৬ জন করে প্রাণ হারান।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৭ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ চারজন মারা গেছেন হাসপাতালের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনজন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৩, ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা গেছেন একজন। এ ছাড়া ১৫, ২৫ ও ৩৯/৪০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন।
এই এক দিনে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন আটজন। তাদের মধ্যে চারজনই রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। দুজনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এ ছাড়া একজন নাটোর ও একজন নওগাঁর বাসিন্দা।
এদিনে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন আরও ৯ জন। তাদের মধ্যে পাঁচজন রাজশাহীর, দুজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এবং একজন করে নাটোর ও নওগাঁর জেলার বাসিন্দা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়ছে।