ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল সের্গেই সুরভিকিনকে অপসারণ করা হয়েছে। নিয়োগের তিন মাস পর তাকে অপসারণ করা হয়। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ। এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে ব্লা হয়, পূর্ব ইউক্রেন থেকে প্রত্যাহারের কয়েক মাস পর, রাশিয়ান বাহিনী পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে এবং সেখানে আক্রমণ শুরু করছে। এ অবস্থায় ইউক্রেনে যুদ্ধ কমান্ডার পরিবর্তনের ঘোষণা দেন পুতিন।
ভ্যালেরি গেরাসিমভ ২০১২ সাল থেকে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর চিফ অফ দ্য জেনারেল স্টাফ ছিলেন। সোভিয়েত পরবর্তী রাশিয়ায় তিনি সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করেন। সের্গেই সুরোভিকিন, যিনি বিভিন্ন যুদ্ধে তার বর্বরতার জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন, এখন তার ডেপুটি হিসেবে কাজ করবেন।
গত বছরের অক্টোবরে পুতিন সুরোভিকিনকে ইউক্রেনের যুদ্ধ কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেন। তার নেতৃত্বে রুশ বাহিনী একের পর এক ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো ধ্বংস করতে থাকে। জ্বালানি অবকাঠামো ক্রমাগত ধ্বংসের কারণে ইউক্রেনের লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ তীব্র শীতে সমস্যায় পড়েছেন।
সুরোভিকিনের আমলে রাশিয়া খেরসন শহর থেকে তার সেনা প্রত্যাহার করে। ইউক্রেনীয়রা একে অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেনের যুদ্ধের কমান্ডারের পদ পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন শাখার মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে কমান্ডার পরিবর্তন করা হয়েছে। রাশিয়ান বাহিনীর কার্যকারিতা ও ব্যবস্থাপনার মান উন্নত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পূর্ব ইউক্রেনের লবণের খনি সমৃদ্ধ শহর সোলেদার দখল নিয়ে রুশ বাহিনী ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। এ অবস্থায় সেনাপতি বদল করেন পুতিন। কিছু সামরিক বিশ্লেষক বিশ্বাস করেন, রদবদল জেনারেল সুরোভিকিনকে আরও শক্তিশালী করবে।
সামরিক বিশ্লেষক রব লি টুইটারে লিখেছেন, ইউক্রেনের একীভূত কমান্ডার হিসেবে সুরোভিকিন খুব শক্তিশালী হয়ে উঠছিলেন। তিনি রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোইগু ও জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভকে বাদ দিয়ে সরাসরি পুতিনের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতেন।