ঈদের ছুটি উদযাপন করতে ঢাকা ছেড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফাঁকা ঢাকায় প্রতি বছরই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি বিশেষকরে চুরি-ছিনতাই এড়াতে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তৎপর থাকে। ঈদের জামাত ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে। পুলিশ, র্যাবের পোশাকধারী সদস্য ও সাদা পোশাকের সদস্যরাও তৎপর থাকবে। পুরো নগরী থাকবে গোয়েন্দা নজরদারিতে। যারা ঢাকায় ঈদ উদযাপন করবেন ঢাকার ভেতর চলাচলে তাদের শুধু শান্তি আর শান্তি। যানজটহীন একটি সুন্দর ঢাকা।
গতবার করোনায় লকডাউনেও এমন ফাঁকা ঢাকার চিত্র দেখা গিয়েছিল। তবে ঈদের সময়টা ভিন্ন। প্রতিবছরই ঈদের সময় ঢাকার রাস্তা ফাঁকা থাকে। এসময় প্রতিটি নাগরিকের উচিত নিজেদেরও সচেতন থাকা। আইনশৃঙ্খলা বহিনীতো তৎপর থাকবেই তবে নিজেদেরও দায়িত্ব নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ঈদে ফাঁকা ঢাকায় চলাচলে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন-
১. গন্তব্যস্থল বেশি দূরে হলে গণপরিবহন ব্যবহার করতে চেষ্টা করবেন।
২. রিকশা বা সিএনজি চালিত যানবাহনে চলার সময় চালক যদি সর্টকাট রাস্তা বলে কোন নির্জন এলাকায় নিয়ে যেতে চায় তাহলে বাধা দিন।
৩. নারীরা বেশি সাজ-গোছ / স্বর্ণের গয়না পরে বের না হওয়ার চেষ্টা করবেন।
৪. রাস্তায় কোনো মানুষের সঙ্গে অযথা তর্কে জরাবেন না।
৫. মোবাইল ফোনে সবসময় ইমার্জেন্সি নম্বরে ৯৯৯ সেভ করে রাখুন, যেকোনো সময় যেন এক চাপেই এ নম্বরে কল করা যায়।
বাসাবাড়িত / ফ্ল্যাটে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন-
১. বাসাবাড়িতে বা ফ্ল্যাটে যখনই কেউ দরজায় নক করবে বা কলিং বেইল চাপবে, অবশ্যই পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তারপর দরজা খুলবেন।
২. অপরিচিত বা সন্দেহজনক কেউ হলে দরজা খুলবেন না, প্রয়োজনে ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করুন।
৩. কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ঘরের লাইট, ফ্যানসহ বৈদ্যুতিক যন্ত্র ও গ্যাসের চুলা বন্ধ আছে কিনা ভালোমতো চেক করে নেবেন।
৪. বেড়াতে যাওয়ার আগে ঘরের তালা ঠিকমতো আটকানো আছে কিনা চেক করে নিন।
৫. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সদরদরজা ঠিকভাবে বন্ধ করে নিন।
৬. বাড়ির দারোয়ান ছুটিতে থাকলে বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা করুন।
৭. বাসাবাড়ির মূল দরজার সামনে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে রাখুন।
অমিত কিশোর রাউৎ
সহ-সম্পাদক, জাগোনিউজ২৪.কম