অভাব-অনটন আর অনাহারে থাকা রিকশাচালক যেভাবে হলেন লাখপতি

0
21

কয়েক বছর আগেও রিকশাচালক মাহফুজার রহমানের নিত্যসঙ্গী ছিল অভাব-অনটন। খেয়ে না খেয়েই চলছিল তাদের সংসার। রিকশা চালিয়ে উপার্জিত টাকা জমিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরামর্শে প্রথম দিকে ৫০টি হাঁস দিয়ে শুরু করে পথচলা। তবে আর ফিরে তাকাতে হয়নি পেছনে। দিন দিন ফুটে উঠছে তাদের সফলতার গল্প। প্রতি দুই মাস পর পর খামার থেকে হাঁস বিক্রি করেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাহফুজারের স্ত্রী হালিমা বেগম ভোর থেকে হাঁসকে নিজেই খাবার খাওয়াচ্ছে হাঁসের সঙ্গে যেন কথা বলছে; বেলা উঠার সঙ্গে সঙ্গে হাসগুলোকে গুনে ছেড়ে দেয় মাঠে। তার পরে হাঁসের ঘর পরিস্কারসহ সংসারের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কথা হয় হালিমার স্বামী মাহফুজার রহমানের সঙ্গে তিনি জানান, বিভিন্ন হ্যাচারি থেকে একদিনের প্রতিটি বাচ্চা কিনে আনেন ২০ টাকা দরে পরম মমতায় প্রথম ২০ দিন খাওয়ানো হয় চালের গুড়া পরে সেগুলো ছেড়ে দেওয়া উন্মুক্ত জলাশয়ে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠে এসব হাঁস। ভোর থেকে স্বামী-স্ত্রীসহ তার খামারে শুরু হয় কর্মব্যস্ততা।

হালিমা বেগম বলেন, সকালে হাঁসগুলো খোলা মাঠে ছেড়ে দিয়ে আমি নিজেই হাঁসের সঙ্গে মাঠে থাকি আবার বাড়িতে আনা হয় সন্ধ্যার আগে। এভাবে ৪০ দিন পার হলেই বিভিন্ন পাইকার যোগাযোগ শুরু করে হাঁস নেওয়ার জন্য, আবার অনেকেই অগ্রিম টাকা দিয়ে যায়। বর্তমানে আমার খামারে রয়েছে সাড়ে চার হাজার অস্ট্রেলিয়ান জাতের হাঁস আর সপ্তাহ বাদেই এসব হাঁস বিক্রি হবে। তাতে খরচ বাদ দিয়ে দেড় লাখ টাকা লাভ হবে আশা করছি।

তিনি আরও জানান, প্রতিদিন অনেকেই আসেন খামার দেখতে কেউ বা আসেন পরামর্শ নিতে এভাবেই চলে আমার কর্মব্যস্ততা। হাঁসের খামারে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, এখানে হাঁসের খামারে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা বেতন পায় তা দিয়ে সংসার বেশ ভালোই চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here