বার বার দুর্নীতি ও অনিয়ম বাগেরহাট ও ফরিদপুর থেকে বিতাড়িত অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম কে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (আইএমটি) সিরাজগঞ্জে পদায়ন করায় বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (বিআইএমটি) প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রত্যাহারের দাবিতে রাস্তায় অবরোধ করে ও ইন্সটিটিউটের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে কঠোর আন্দোলন করেন।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৮ টার দিকে সিরাজগঞ্জ মেরিন টেকনোলজির সামনে সয়দাবাদ ১নং চেকপোস্টে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে দুর্নীতিবাজ সিরাজের অধ্যক্ষ পদায়নের প্রজ্ঞাপন বাতিল করার জন্য এই আন্দোলন করা হয়।
তথ্য সুত্রে জানাযায়, ২০১৮ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারী চার বছর অধিক সময় আইএমটি বাগেরহাটে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় অনিয়ম ও দুর্নীতির বিপুল অভিযোগে অভিযুক্ত। পরবর্তীতে ৪০ লক্ষ টাকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে তুমুল আন্দোলনের মুখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদন্তে তাকে বাগেরহাট থেকে অপসারণ করে বিআইএমটি নারায়ণগঞ্জপ সাধারণ শিক্ষক হিসেবে বদলি করা হয়। এরপর নারায়ণগঞ্জ চাকরি অবস্থায় ২০১৯ সালে বিদেশিগামী পিডিও ট্রেনিংয়ে দুর্নীতি ও সার্টিফিকেট বিক্রি করে দুই মাসে ৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে। তারপর তিনি বিভিন্ন অবৈধ তদবির ও বিভিন্ন যোগসাজশ করে ২০২২ এর এপ্রিলে ফরিদপুর আইএমটিতে প্রিন্সিপাল হিসাবে নিযুক্ত হন। পরবর্তী ১৯ মাসে তার দুর্নীতি ও অনিয়মে অতিষ্ঠ হয়ে ফরিদপুরের ছাত্র ছাত্রীরা ১৩ টি অভিযোগ করে এবং শিক্ষকবৃন্দ ১৫ টি অভিযোগ তোলে ও কর্মচারীবৃন্দ ৪ টি অভিযোগ করে মোট ৩২ টি অভিযোগে অভিযুক্ত হলে ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ফরিদপুর থেকে সিরাজগঞ্জে বদলি অর্ডারের পর পদায়ন করলে শিক্ষার্থীরা তাকে বয়কট করে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে।
ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি সিরাজগঞ্জ এর শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের সকল ছাত্র ছাত্রীরা একটাই দাবি দুর্নীতিবাজ ও অনিয়ম অভিযুক্ত অধ্যক্ষ চাই না। তিনি পদায়ন করলে প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হবে। আমরা ইনস্টিটিউট সকল কার্যক্রম বন্ধ করেছি যদি দ্রুত সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয় তাহলে আমাদের এই আন্দোলন আরও বড় হবে।
সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম বলেন, আমি অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) হাবিবুর রহমান স্যারের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে আমাকে জানিয়েছেন সিরাজুল জয়েন করতে চেয়েছিল কিন্তু এর বিরুদ্ধে বিআইএমটি সিরাজগঞ্জের শিক্ষার্থীরা দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় জয়েন অর্ডার স্থগিত করা হলো। আমরা দুই দিনের মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত নিবো।
মেরিন টেকনোলজি অব ইন্সটিটিউট এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হারুন অর রশিদ বলেন, আমাকে ফরিপুর জেলায় বদলি করা হয়েছে। সিরাজ স্যার সিরাজগঞ্জে পদায়ন করায় এর বিরুদ্ধে আমাদের শিক্ষার্থী আন্দোলন করেন।
সিরাজগঞ্জ এডিসি রায়হান কবির বলেন, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি যে কোন একটা সিদ্ধান্ত নিবে এই বলে শিক্ষার্থীদের আসস্ত করে। এরপর ছাত্র ছাত্রীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে।