কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলার ২শ ৫৪ টি চর-দ্বীপচরের নদী সংলগ্ন গ্রাম গুলির মানুষ চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। ৩০টি ইউনিয়নে পানি বন্দী হতে পারে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ।
দুধকুমোর,ব্রক্ষপুত্র সহ বিভিন্ন নদীর পানি বিপদসীমার সামান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। ভাঙ্গনের কবলে যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরযাত্রাপুর,ফারাজীপাড়া,গারুহারা সহ অন্যান্য গ্রাম। পানি বন্দী মানুষরা খাদ্য সংকটে পড়েছে। তাদের বাড়ীর টিউবয়েল গুলো তলিয়ে যাওয়ায় পানির সংকটেও পড়েছে এসব মানুষ। অনেকে নদীর পানি পান করছে। অনেকে তাদের ঘরবাড়ী ছেড়ে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে অথবা উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে । চর-দ্বীপ চরের গ্রামীণ সড়ক গুলি পানিতে ঢুকে যাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয়ছে। অনেক এলাকায় নৌকা ও ভেলা না থাকায় মানুষজন ঘরে এক প্রকার বন্দী জীবন কাটাচ্ছে। মানুষের পাশাপাশি গবাদী পশু গুলিও চরম খাদ্য কষ্টে পড়েছে। গো চারন ভুমি গুলি পানির নীচে তলিয়ে রয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকার ধান ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এছাড়াও শতাধিক পুকুরের মাছ বন্যায় ভেসে যাচ্ছে ।
জেলা ত্রান ও পূনবার্সন কার্যালয় দ্রুত বন্যার্তদের জন্য ত্রান বরাদ্দ দেয়া অতিব জরুরি।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তাদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।